ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে শর্করার সমতা বজায় রাখতে, নানা রকম হরমোন উৎপাদন এবং ক্ষরণের জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনের মাত্রা কেমন, তার উপর অনেকখানি নির্ভর করে দেহের পেশির কাজকর্ম এবং সামগ্রিক সুস্থ থাকা। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাব কিন্তু বাড়াবাড়ি রকমের অসুস্থতা ডেকে আনতে পারে। কয়েকটি শারীরিক উপসর্গ দেখলেই বোঝা যায়, শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের অভাব রয়েছে।
১) হাত-পা, পায়ের পাতা হঠাৎ ফুলতে শুরু করেছে? শরীরে অ্যালবুমিন নামক প্রোটিনের ঘাটতি হলে এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। দেহে তরলের সমতা রক্ষা করতেও সাহায্য করে এই অ্যালবুমিন।
২) পেশির গঠন এবং কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য রোজ যতটুকু প্রোটিন খেতে হয়, তার অভাব হলে পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। পেশিতে টানও ধরতে পারে।
৩) চুল পড়া, নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া কিংবা ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ার সমস্যা বৃদ্ধি পায় প্রোটিনের অভাবে। ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন কেরাটিন এবং কোলাজেন উৎপাদনের হার কমে যায়।
৪) শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে সারা ক্ষণ খাই খাই ভাব দেখা দিতে পারে। প্রোটিন এমন একটি উপাদান, যা দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা উন্নত করতে সাহায্য করে প্রোটিন। রোগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে যে অ্যান্টিবডি প্রয়োজন হয়, তা তৈরিতে প্রোটিন মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাই শরীরে প্রোটিনের অভাব হলে ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে।