প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
শরীর ঠিক রাখবেন ভেবে শরীরচর্চা তো শুরু করলেন। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই একদিন করছেন তো আর একদিন করছেন না। শরীরচর্চা করতে হবে ভাবলেই যেন জ্বর আসছে। একদিন বাদ দিয়ে বা যখন ইচ্ছে হল তখন শরীরচর্চা করে কিন্তু কোনও সুফল মেলে না। শরীরচর্চার ফল পেতে গেলে সেটা নিয়মিত রাখতে হয়। কিছুতেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকছে না? কয়েকটি অভ্যেস মেনে চললেই মিলবে সুফল।
১) প্রতিদিন একই সময়ে শরীরচর্চা করুন। ধরা যাক সকাল ৯টায় আপনি শরীরচর্চা শুরু করলেন। এই সময়ে ব্যস্ততাও একটু কম থাকে। তাহলে রোজ সকাল ৯টায় মোবাইলে অ্যালার্ম দিন। ধীরে ধীরে এটা অভ্যেসে পরিণত হবে।
২) প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় ও সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময়টা এক রাখুন। এতে স্বাভাবিকভাবে ঘুম হবে এবং উঠে শরীরে শক্তিও পাবেন। তখন শরীরচর্চা করার ইচ্ছেটাও থাকবে।
৩) কোনও একটা বিষয় তাক করুন, যেটার পরই আপনি ব্যায়ামটা করবেন। ধরা যাক, ওই অ্যালার্মটাই। সকালে ঘুম থেকে ওঠার অ্যালার্মের পর যেমন দাঁত মাজা বাদ দেন না, তেমনই এই অ্যালার্মের পর শরীরচর্চা বাদ দেবেন না।
৪) বাড়িতে শরীরচর্চার একটা জায়গা তৈরি করুন। প্রতিনিয়ত সেই জায়গাটার পাশ দিয়ে যেতে গেলে আপনার নিজেরই মনে পড়বে শরীরচর্চাটা করে নেওয়া দরকার। জায়গাটা একটু প্রসারিত হলে ভাল।
৫) শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে যে পোশাক বদলাতে হয়, সেটা যদি হাতের সামনে না থাকে, তাহলে খুব মুশকিল। হাতের কাছে থাকলে চটজলদি তৈরি হয়ে যেতে পারবেন। নাহলে অনীহা জন্মাতে সময় লাগবে না।
৬) প্রতিদিনের শরীর চর্চার একটা পরিকল্পনা রাখুন। ধরা যাক, সোমবারের জন্য একরকম শরীরচর্চা, মঙ্গলবার অন্যরকম। এইভাবে দিন অনুযায়ী শরীরচর্চার একটা পরিকল্পনা থাকলে, সেটা বাদ পড়ার আশঙ্কায় শরীরচর্চা বাদ দেবেন না।
৭) শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনার কতটা উন্নতি হয়েছে, সেটা খেয়াল রাখুন। প্রতিদিন শরীরচর্চার পর ক্যালেন্ডারে লিখে রাখুন যে আপনি শরীরচর্চা করেছেন। মাসের শেষে প্রতিদিনের শরীরচর্চা ফলে আপনার ওজন কতটা কমল বা অন্যান্য কী কী সুবিধে হল সেটা দেখার সময়, এই যে রোজ শরীরচর্চা করেছেন, এটা খেয়াল রাখুন।
৮) যে শরীরচর্চা করতে ভাল লাগে, সেই শরীরচর্চাটা করুন। এতে করার একটা তাগিদও পাবেন।