মুখ এবং মস্তিষ্কের গঠনেও জিনের হাত। ছবি- সংগৃহীত
জিনগত ত্রুটির কারণেই ‘ডাউন সিনড্রোম’ হয়। ২৩ জোড়া ক্রোমোজোমের মধ্যে ২১তম ক্রোমোজমে দু’টির বদলে তিনটি ক্রোমোজোম থাকে। তাই অসুখটি ‘ট্রাইজোমি-২১’ নামেও পরিচিত। এই রোগ হলে শিশু শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিজনিত কিছু সমস্যা নিয়েই জন্ম নেয়। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের করোটি এবং মুখের গঠন কেমন হবে, তাও নাকি নির্ভর করে জিনের উপর। হালের গবেষণা অন্তত তেমনটাই বলছে। লন্ডনের কিংস কলেজ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মুখ বা মস্তিষ্কের আদলে এই পরিবর্তন, চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘ক্রেনিয়োফেসিয়াল ডিসমরফোলজি’ নামে পরিচিত, তার জন্য দায়ী জিন।
গবেষকদের প্রধান ভিক্টর টাইবুলেউইজ় এবং তার দল ইঁদুরের শরীরে এই জিনঘটিত রোগের স্ট্রেন প্রবেশ করিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সেই ইঁদুর পরবর্তী কালে সন্তান প্রসব করলে তাদের মুখ এবং করোটির গঠনগত এই বিভাজন নজরে আসে গবেষকদের। ভিক্টর বলেন, “এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের করোটি এবং মুখের গঠন আরও একটি বিষয়ে আমাদের সতর্ক করে। এই জিনটি যে হেতু গঠনগত ত্রুটির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই এই সব শিশুর হার্টের গঠনের বিষয়েও আমাদের নজর রাখা উচিত।” এই গবেষণাটি ‘ডাউন সিনড্রোম’-এর বংশগতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। মুখ এবং করোটির পর গবেষকরা এই রোগে আক্রান্তদের হার্টের ত্রুটির জন্য কোন জিন দায়ী, তা খুঁজে বার করার কাজ চালিয়ে যাবেন।