Mangoes

অম্বল, আমাশার ভয়ে পাকা আম খেতে পারছেন না? এমন ধারণা কি আদৌ যুক্তিযুক্ত?

পাকা আম বেশি খেলে বোধ হয় হজমের সমস্যা হয়। ভুগতে হয় আমাশার সমস্যায়। তাই ইচ্ছা থাকলেও পাকা আম খেতে চান না অনেকেই।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:১৩
mangoes

অনেকেই মনে করেন পাকা আম বেশি খেলে বোধ হয় হজমের সমস্যা হয়। ছবি- সংগৃহীত

প্রখর রোদ থেকে ফিরে আমপোড়ার শরবত, রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে নুন-লঙ্কা দিয়ে কাঁচা আম, আবার রাতে শেষপাতে পাকা আম। গরমকালে আম নিয়ে আমজনতার মাতামাতির শেষ নেই। মরসুমি ফল হিসাবে চিকিৎসকেরাও আম খাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ পাকা আমে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, পেকটিন এবং ফাইবার। যা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এ ছাড়াও ত্বকের নানা রকম সমস্যাও দূর করতে পারে পাকা আম।

Advertisement

কিন্তু অনেকেই মনে করেন পাকা আম বেশি খেলে বোধ হয় হজমের সমস্যা হবে। ভুগতে হয় আমাশার সমস্যায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও পাকা আম খেতে চান না অনেকেই। কিন্তু এই ধারণা কি আদৌ ঠিক? বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলছে।

mangoes

আমে জল ও ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। ছবি- সংগৃহীত

আম পেটের ক্ষতি তো করেই না, বরং হজমের ক্ষেত্রে বহু সমস্যাও দূর করতে সাহায্য করতে পারে আম। কারণ এতে ‘অ্যামিলাসেস’ জাতীয় এনজাইম থাকে। যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই ধরনের এনজাইম পেটে খাবার গেলেই তা ছোট ছোট খণ্ডে ভেঙ্গে দিতে পারে। আর খাদ্য যত ছোট করে ভাঙা হয়, তত তাড়াতাড়ি এবং সহজে তা হজম হতে পারে। আরও একটি কাজ করতে পারে এই এনজাইম। গ্লুকোজ, শর্করা জাতীয় সব খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে। ফলে অপ্রয়োজনীয় শর্করা শরীরের আনাচকানাচে জমে থাকার সমস্যা দূর করে। আম যত বেশি পাকা হবে, ততই সহজে হজম করাতে পারবে এ ধরনের শর্করা। কারণ, পাকা আমে এই ধরনের এনজাইম বেশি সক্রিয় থাকে।

এ ছাড়াও, আমে অনেক পরিমাণ জল ও ফাইবার থাকে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হোক বা ডায়েরিয়া, সবই কমে আমের গুণে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা সম্পূর্ণ সারিয়ে দিতে পারে আম।

আরও পড়ুন
Advertisement