বার্ধক্যে তারুণ্য বজায় রাখার ব্যায়াম। ছবি: সংগৃহীত।
বয়সের চাকা সামনের দিকে যত এগোতে শুরু করে, চেহারার জৌলুস ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কালের নিয়মে বয়স বাড়ে ঠিকই, কিন্তু বয়সের ছাপ যাতে চেহারায় না পড়ে, তেমন বাসনা সকলের মনেই সুপ্ত থাকে। অনিয়মিত জীবনযাপনের ফলে কম বয়সেই চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যায়। তা নিয়ে অনেকেই অত্যন্ত চিন্তিত থাকেন। অকালবার্ধক্যের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া গেলেও বিগতযৌবনে তারুণ্য ধরে রাখা সহজ নয়। তবে তা অসম্ভবও নয়। চিকিৎসকদের মতে, বয়স ধরে রাখার সঙ্গে শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার যোগাযোগ রয়েছে। শরীর আর মনের যত্ন একসঙ্গে নিতে হলে ভরসা রাখতে পারেন যোগাসনের উপর। কোন আসনগুলি নিয়ম করে করলে চিরতরুণ থাকবেন?
ভুজঙ্গাসন
উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। পা সোজা করে রাখুন। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখুন, কনুই থাকুক শরীর ঘেঁষে। আগু-পিছু করে আরামদায়ক ভাবে নিজের অবস্থান ঠিক করে নিন। কপাল মাটিতে রেখে চোখ বন্ধ করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। হাতে ভর না দিয়েই মাথা এবং বুক উপরের দিকে তুলুন। কিছু ক্ষণ এই ভঙ্গিতে থেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় আসুন।
পশ্চিমোত্তাসন
সামনের দিকে পা ছড়িয়ে বসুন। পায়ের পাতার অভিমুখ রাখুন আপনার দিকে। শিরদাঁড়া সোজা রাখুন। এ বার শ্বাস নিন। দুটো হাত একসঙ্গে মাথার উপর সোজা করে তুলুন। এর পরে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার আস্তে আস্তে সামনের দিকে ঝুঁকুন। দুটো হাত গোড়ালি পর্যন্ত পৌঁছলে একটির কব্জি দিয়ে আর একটি ধরে রাখুন। মাথা রাখুন হাঁটুতে। এর পর শ্বাস ছাড়ুন। খেয়াল রাখুন, শিরদাঁড়া যেন সামনের দিকে প্রসারিত থাকে। শ্বাস নিন। এর পরে আস্তে আস্তে দুটো হাত সরিয়ে মাথার উপর নিয়ে গিয়ে শ্বাস ছাড়ুন। এ বার হাত দুটো নামিয়ে নিয়ে আগের ভঙ্গিতে ফিরে যান।
বালাসন
হাঁটু মুড়ে গোড়ালির উপর বসুন। এ বার দুই হাত প্রসারিত করে পেট মুড়ে সামনের দিকে ঝুঁকে যান। বুক যেন ঊরু স্পর্শ করে। মাথা মাটিতে ঠেকিয়ে রাখুন। শ্বাস স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন। নিয়মিত এই আসনগুলি করলে উপকার পাবেন।