অতিরিক্ত ক্লান্তি, ঝিমুনি কাটবে কী ভাবে? ছবি: ফ্রিপিক।
দিনভর ঘুম ঘুম পাচ্ছে? রাতে ঘুমিয়েও দিনে ক্লান্তি কাটছে না? পর্যাপ্ত ঘুমোনোর পরেও অনেকে সারা ক্ষণ ক্লান্তি অনুভব করেন। এমন হওয়াটা মোটেও স্বাভাবিক নয়। চিকিৎসকেরা এমন উপসর্গ দেখলে বলেন ‘স্লিপিং ডিসঅর্ডার’ হয়েছে। আসলে এর কারণ অনেক কিছুই হতে পারে।
রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনোর পর যদি আবারও ঘুম পায় বা ক্লান্ত লাগে, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া, মাঝরাতে ঘুমের মাঝে জেগে ওঠা, একবার ঘুম ভেঙে গেলে দীর্ঘ ক্ষণ ঘুম না আসা, দিনের যে কোনও সময় ঘুম পাওয়া, প্রচণ্ড ক্লান্তি, ঘুমের সময়ে জোরে জোরে নাক ডাকা আবার অনেক সময়ে ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। ডায়াবিটিস, হার্টের রোগ, কিডনির অসুখ থাকলেও এমন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলেও এমন সমস্যা হতে পারে। শরীর চাঙ্গা রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গেই জীবনযাত্রায় বদল আনতে হবে। পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলছেন, রোজের ডায়েটে ডিম রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডিম স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। একটি ডিমে ৭ গ্রাম ফ্যাট ও ৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। তা ছাড়া বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর ডিম খেলে শরীরে আলাদা চাঙ্গা ভাব আসে।
শরীরে জোর পেতে বাদাম খেতে হবে। আখরোট, কাঠবাদাম রোজ খাওয়ার চেষ্টা করুন। তবে পরিমিত খেতে হবে। আখরোট ২টির বেশি নয়, কাঠবাদাম ৩ থেকে ৪টি খেতে হবে। এই বাদামগুলিতে রয়েছে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা শারীরিক ক্লান্তি, দুর্বলতা কমিয়ে দিতে পারে। তবে কিডনির রোগ বা বাতের ব্যথাবেদনা থাকলে বাদাম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নিতে হবে।
ভাতের বদলে ওট্স, ডালিয়া, কিনোয়া বা ব্রাউন রাইস খেলেও ক্লান্তি ভাব কমবে। শীতের সময়টাতে ক্লান্তি ভাব বেশি আসে বলে টক দই খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। দই প্রোবায়োটিক যা শরীর তরতাজা রাখে। সেই সঙ্গেই নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।