ওজন কমাতে ভরসা হবে কে? ছবি: সংগৃহীত।
ওজন কমাতে শুধু শরীরচর্চা করলে চলবে না, প্রোটিনও খেতে হবে পরিমাণমতো। প্রোটিনের ঘাটতি তৈরি হলে ওজন বাড়তে থাকে। আমিষ খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এখানে বলে নেওয়া ভাল, মাছ, মাংসের চেয়েও ডিমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। ওজন কমাতে চাইলে রোজ একটি করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদ উভয়েই। তবে যাঁরা নিরামিষ খান, ওজন কমাতে প্রোটিনের কোন উৎসের উপর ভরসা রাখবেন, তা বুঝতে পারেন না। আমিষ খাবারে প্রোটিন বেশি বলে, নিরামিষ খাবারে প্রোটিন নেই তা কিন্তু নয়। ডিমের মতো পনিরেও প্রোটিন আছে। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য কোনটি বেশি উপকারী, তা নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে।
একটি মুরগির ডিমে আছে ৬ গ্রাম প্রোটিন। এ ছাড়াও পুষ্টির নানা উপাদান থাকে এই খাদ্যে। আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালশিয়াম। একটি ডিমে ২৪.৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়াও ডিমে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক।
কিন্তু জানেন কি, পনিরে প্রোটিনের মাত্রা ডিমের চেয়েও খানিক বেশি। ৪০ গ্রাম কম ফ্যাটযুক্ত পনিরে ৭.৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ক্যালশিয়াম থাকে ১৯০ মিলিগ্রাম। কার্বোহাইড্রেট, ফোলেট, ফসফরাস, পটাশিয়ামও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। এ বারে দ্রুত রোগা হতে কোনটি খাবেন? ডিম নাকি পনির?
দু’টি খাবারই অত্যন্ত পুষ্টিকর। ওজন কমাতে চাইলে দু’টি খাদ্যই যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে। তবে দু’টি খাবারে আলাদা আলাদা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। যে ধরনের ভিটামিন আপনার শরীরে বেশি প্রয়োজন, তা বুঝে বেছে নেওয়া যেতেই পারে। কিন্তু যাঁরা ডিম খান, সঙ্গে তাঁরা পনিরও খেতে পারেন। তাতে কোনওই সমস্যা নেই। আর যাঁরা ডিম খান না, তাঁরা পনির একটু বেশি পরিমাণে খেলে শরীর বেশি ভাল থাকবে। পনিরে প্রোটিনের পরিমাণ যেহেতু বেশি, তাই চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য যে, ওজন কমানোর সময়ে ডিমের চেয়ে পনির খাওয়া বেশি লাভজনক হতে পারে।