Stomach Flu

পুজোয় রাস্তার খাবার খেয়ে ভাইরাল ডায়েরিয়া হয়েছে শিশুর? কী কী ব্যবস্থা নেবেন বাবা-মায়েরা?

বার বার মলত্যাগ, বমি, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিলে সাবধান হতে হবে। ওষুধে যেমন কাজ হবে, বাড়িতেও শিশুর যত্ন নিতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৪ ১০:৪৭
Effective Home Remedies to Control diarrhea in kids

রাস্তার ফুচকা, রোল-চাউমিন খেয়ে পেটের গন্ডগোলে ভুগছে শিশু? প্রতীকী ছবি।

পুজোর সময়ে একটু-আধটু বাইরের খাবার খেয়েই থাকে শিশুরা। কিন্তু যদি লাগাতার পুজোর চার দিন রাস্তার খাবার খেয়ে পেটের গোলমাল শুরু হয়, তা হলে সাবধান হতে হবে। শিশু যদি ঘন ঘন মলত্যাগ করে, সেই সঙ্গে বমি হতে থাকে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। ওষুধে যেমন কাজ হবে, বাড়িতেও শিশুর যত্ন নিতে হবে। শিশুকে কী খাবার খাওয়াবেন, কী বাদ দেবেন, সেগুলি মাথায় রাখবেন।

Advertisement

মরসুম বদলের সময়ে বাতাসে ভাইরাস-ব্যাক্টেরিয়ার সংখ্যা বেড়ে যায়। শিশুরোগ চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল বলছেন, “প্রচণ্ড গরমে পেটের গোলমাল হতে পারে। আবার বাইরের খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়ে ডায়েরিয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভাইরাল ডায়েরিয়া হওয়ারই আশঙ্কা থাকে। বার বার তরল মলত্যাগ ছাড়াও মলের সঙ্গে রক্ত পড়া, পেটে ব্যথা, বমি হতে পারে ডায়েরিয়ার জন্য। তবে ডায়েরিয়ার সবচেয়ে গুরুতর লক্ষণ হল জলশূন্যতা। এমন লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতেই হবে।”

বাড়িতে বাবা-মায়েরা কী ভাবে যত্ন নেবেন?

১) ডায়রিয়া হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। বাড়িতে বানানো নুন-চিনির জল বা ওআরএস খাওয়ানো যেতে পারে।

২) এমন অবস্থায় চিঁড়ে সিদ্ধ করে খাওয়ালে খুব তাড়াতাড়ি কাজে দেয়। এই সময়ে বমিভাব থাকেই। তাই ভাত বা অন্য খাবার খেতে না পারলে, শিশুকে নুন-চিনি দিয়ে সিদ্ধ চিঁড়ে খাওয়াতে পারেন।

৩) ডায়েরিয়ায় প্রোবায়োটিক্‌স খুব ভাল কাজে দেয়। তাই টক দই দেওয়া যেতে পারে। দইয়ের ঘোল দিতে পারেন। তবে দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারে অ্যালার্জি থাকলে দেবেন না।

৪) ভাত দিলে তার সঙ্গে কোনও রকম ডাল বা তরকারি দেবেন না। নুন, লেবুর রস ও চিনি দিয়ে ভাত চটকে মেখে তা-ই খাওয়ান শিশুকে।

৫) শিশুদের ফল, সব্জি খাওয়ানোর আগে বা রান্নার আগে ভাল করে ধুয়ে নেবেন। অন্তত মিনিট দশেক জলে ডুবিয়ে রেখে ঘষে ধুতে হবে।

৬) শিশুর বয়স পাঁচ বছর বা তার কম হলে জল ফুটিয়ে খাওয়ানোই ভাল।

৭) শিশুর শরীরে জলশূন্যতা হয়েছে কি না, তা দেখতে হবে। জলশূন্যতার লক্ষণ হল— ঠিক মতো প্রস্রাব না হওয়া, শিশুর মধ্যে আলস্য ভাব, জিভ-ঠোঁট-গালের ভিতরের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

জলশূন্যতার মাত্রা বেশি হলে জল খেতেও অনীহা দেখা যায়। সে ক্ষেত্রেএক গ্লাস জলে এক চামচ চিনি ও একচিমটে নুন মিশিয়ে সেই মিশ্রণ খাওয়াতে পারেন শিশুকে।

আরও পড়ুন
Advertisement