Navratri Special Food

উৎসবের মরসুমে টানা উপোস? খাবার, জলের ঘাটতি মিটিয়ে শরীর ভাল রাখবেন কী ভাবে?

উৎসবের দিনগুলোতে উপোস ভাঙার পর কী খাবেন? ফল এবং সব্জি ছাড়াও প্রতিদিনের খাবার তালিকায় আর কী কী যোগ করলে, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরে পৌঁছবে?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৫:২৪
শারদ  নবরাত্রিতে দিনের শেষে উপোস ভেঙে কী খাবেন?

শারদ  নবরাত্রিতে দিনের শেষে উপোস ভেঙে কী খাবেন? ছবি- সংগৃহীত

পুজোর চারটে দিন অনেকের বাড়িতেই নিরামিষ খাবার নিয়ম। আবার অবাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে দেবীপক্ষ শুরুর পরের দিন থেকে শারদ নবরাত্রি পালনের রীতি। উৎসব যেমনই হোক, তার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে নানা ব্রত পালনের নিয়ম। সারাদিন উপোস করে কী খাবেন, এ নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। পুষ্টিকর খাবার বলতে সাধারণত আমরা মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এসবই বুঝি। আর রয়েছে ফল এবং সব্জি। এছাড়া খাবার তালিকায় আর কী কী যোগ করলে, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি শরীরে পৌঁছবে? পুষ্টিবিদরা বলছেন, উপোসের দিনগুলোতে ফল, দুধ ছাড়া আরও কিছু পুষ্টিকর খাবার রয়েছে, যেগুলি খাবার তালিকায় যোগ করলে শরীর কাজ চালানোর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেয়ে যেতে পারে।

Advertisement

দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী?

১) জোয়ার, বাজরা, রাগী আটা

রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাতে বহু দিন থেকেই জোয়ার, বাজরা, রাগী, মিলেটের আটা দিয়ে পুরি, পরোটা, রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ এই আটা, আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

২) অমরন্ত আটা

পুষ্টিগুণের দিক থেকে গমের আটার চেয়ে অমরন্ত আটা ইদানীং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপোস করে থাকলে, শরীরে সাধারণত যে ঘাটতি হয়, তা পূরণ করে দেয় এই আটী। উদ্ভিজ্জ প্রোটিনে ভরপুর, গ্লুটেন মুক্ত রাজগীরা বা অমরন্ত আটা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা।

ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ জোয়ার, বাজরা, রাগী, মিলেটের আটা, আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।

ফাইবারের গুণে সমৃদ্ধ জোয়ার, বাজরা, রাগী, মিলেটের আটা, আপনার অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। ছবি- সংগৃহীত

৩) পানিফলের আটা

যারা স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, তারা অনেক সময় গমের আটার বদলে পানিফলের আটার রুটি খেয়ে থাকেন। যারা উপোস করেন, তাদেরও এই আটার রুটি খেতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

৪) মাখনা

নিরামিষভোজীরা অনেক সময়ই মুখরোচক খাবার হিসেবে, বিভিন্ন মশলা এবং লেবু জড়ানো মাখনা খেয়ে থাকেন। আলুর চিপস্ এর বদলে যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর এই মাখনা।

উপোস ভাঙলে এমন ফল বা সব্জি খান, যেগুলিতে জলের পরিমাণ বেশি।

উপোস ভাঙলে এমন ফল বা সব্জি খান, যেগুলিতে জলের পরিমাণ বেশি। ছবি- সংগৃহীত

৫) ফল ও সব্জি

চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা এমনিতেই মরসুমি ফল এবং সব্জি খাওয়ার পরামর্শ দেন। ব্রত পালনের সময় অনেকেই নির্জলা উপোস করেন। সে ক্ষেত্রে শরীরে জলের ঘাটতি থেকেই যায়। উপোস ভাঙলে পরে এমন ফল বা সব্জি খান, যাতে জলের পরিমাণ বেশি।

৬) সাবুদানা

উপোস ভাঙার কথা বললেই প্রথম যার কথা মাথায় আসে, সে হল সাবু। জাতীয় খাবার দুধে ভিজিয়ে হোক বা সেদ্ধ করে, ছোট থেকে বড়, সাবু সকলের উপাদেয়। অনেকে আবার সাবুর খিচুড়িও খেতে পছন্দ করেন। সাবুতে স্টার্চের পরিমাণ বেশি থাকায়, প্রয়োজনীয় এনার্জি শরীর সেখান থেকেই পেয়ে যায়।

৭) শুকনো ফল

সকালবেলা উঠেই একটি বাটিতে ভিজিয়ে দিন কাজু, কিসমিস, পেস্তা, সোয়ারা, কাঠবাদাম, খোবানি, মোনাক্কার মতো শুকনো কিছু ফল। সারাদিন উপোস করার পর, আপনার শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেবে এক মুঠো শুকনো ফল।

আরও পড়ুন
Advertisement