বাইরে নিশ্চয়ই খাবেন। কিন্তু তাও বেরোনোর আগে কিছু খেয়ে বাইরে যান। ছবি- সংগৃহীত
পুজোর মাস ছ’য়েক আগে থেকেই জিম, যোগা করে মেদহীন যে সুন্দর চেহারা গড়ে তুললেন, পুজোর ক’টা দিনের অনিয়মে তা একেবারে হাতের বাইরে চলে যাবে। তাই বলে বাইরে খাওয়া বন্ধ থাকবে নাকি? ডায়েটের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল, দিনের কোনও খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। এবং সারা দিনের খাবারে মধ্যে শরীরের প্রয়োজনীয় উপাদানের ভারসাম্য রক্ষা করা। উৎসবের দিনগুলোতে এত নিয়ম মেনেও তো চলা যায় না। কিন্তু আগে থেকে অবশ্যই পরিকল্পনা করে রাখা যায়। নিজেই নিজেকে বোঝান, কী খাবেন আর কী খাবেন না। পুজোর সময় কেমন ভাবে খাওয়ার পরিকল্পনা করবেন রইল তার হদিস।
১) সঠিক খাবার খান
পুজোর সময় ঠাকুর দেখতে বেরোবেন আর বাইরে খাবেন না, তা কি হয়? কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এত দিন ধরে ডায়েট করে তিলে তিলে যে মেদহীন শরীর গড়লেন, তা মাঠে মারা যাবে। পুজোর আগে বেশ কিছু দিন ধরেই তেল মশলা ছাড়া খাবার খাওয়ার ফলে আপনার শরীর এক ভাবে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছিল। কিন্তু উৎসবের শুরুতেই যদি রগরগে খাবার খেতে শুরু করেন, পেটের সমস্যায় ভোগার সম্ভাবনা প্রবল।
২) খাবার বাদ দেওয়া যাবে না
ডায়েটের প্রথম এবং প্রধান শর্ত হল, দিনের কোনও খাবার বাদ না দেওয়া। এ ক্ষেত্রেও নিয়মটা একই। রাতে বিরিয়ানি খাবেন বলে সকালের জলখাবার বাদ দেবেন, তা কিন্তু হবে না।
৩) মিষ্টি খেলেও বেছে খান
উৎসবের দিনে বাঙালি মিষ্টি খাবে না? নিশ্চয়ই মিষ্টি খাবেন, কিন্তু বেছে খান। শুকনো মিষ্টি বা কম মিষ্টি দেওয়া খাবার খান। মিষ্টি বেশি খেলে, অন্যান্য খাবারে মিষ্টি কম দিন।
৪) ভাজাভুজি বাদ দিন
বাইরের খাবারে এমনিতেই তেল মশলা বেশি থাকে। তাই বাড়িতে আলাদা করে আলু ভাজা, বেগুন ভাজা, লুচি এ সব খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫) ঠান্ডা পানীয়কে না বলুন
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গরমে যতই গলা শুকিয়ে যাক, নরম ঠান্ডা পানীয় খাবেন না। বারে বারে জল খান। দিনেরবেলা হলে আখের রস বা অন্য ফলের রসও খেতে পারেন।
৬) বাইরে বেরোনোর আগে খেয়ে নিন
বাইরে এত ভাল ভাল খাবারের গন্ধে, বাড়ির খাবার ধোপে টিকবে না। বাইরে নিশ্চয়ই খাবেন। কিন্তু তাও বেরোনোর আগে কিছু খেয়ে বাইরে যান। যাতে বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই মুখ চালাতে না হয়।