একটি ব্যায়ামের কামালেই দ্রুত ক্যালোরি ঝরবে! ছবি- সংগৃহীত
পুজোর আগে মেদ ঝরাতে কত নিয়মই না মেনে চলি আমরা! কখনও পছন্দের খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিই, কখনও আবার নেমে পড়ি কঠিন শরীরচর্চায়। তবে ব্যস্ত জীবনে কাজের মাঝে আলাদা করে সময় বার করে জিমে যাওয়ার সুযোগ হয় না অনেকেরই। পুজোর আগে রোজের ব্যস্ততার মাঝে মিনিট পনেরো সময় বার করলেই কমতে পারে আপনার ওজন! না, এই সময়ে খুব ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা নয়। স্কিপিংয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। নিয়মিত স্কিপিং করলে অনেকটা ওজন ঝরানো সম্ভব!
কেবল ওজন ঝরানোই নয়, ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, লাফদড়ি বা স্কিপিং খুব ভাল শরীরচর্চা। সুস্বাস্থ্য পেতে বিশেষ করে হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখতে এই ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। তবে এই ব্যায়াম করলেই যে আপনার উচ্চতা বাড়বে, এমনটা নয়। কারও উচ্চতা কত হবে, তার সবটাই বংশগত। খুব বেশি ব্যায়াম করলেও উচ্চতায় বিশেষ হেরফের হয় না।
স্কিপিং করার গুণাগুণ
১) মন ভাল রাখতে সাহায্য করে স্কিপিং। এই ব্যয়াম করার সময় এন্ডরফিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন মানসিক অবসাদ দূর করে আনাকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।
২) শরীরের মাংসপেশি সচল ও নমনীয় করে তোলার ক্ষেত্রে লাফদড়ির জুড়ি নেই!
৩) এটি একটি কার্ডিয়ো ব্যায়াম। আপনি যখন দড়ির উপর দিয়ে লাফাচ্ছেন, তখন আপনার শরীরে রক্তসঞ্চালনের হার বেড়ে যায়। ফলে হৃদ্যন্ত্রও ভাল থাকে।
৪) মাংসপেশি মজবুত করার ব্যায়াম করতে গিয়ে অনেক সময়ে নানা অংশে আঘাত লাগে। কিন্তু স্কিপিং করার ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা নেই। যেহেতু বাইরের কোনও ওজন আপনার উপরে প্রয়োগ করা হচ্ছে না, ফলে আপনার মাংসপেশি মজবুত হবে কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই!
৫) লাফদড়ির মাধ্যমে আপনি একবারেই সারা শরীরের ব্যায়াম করে নিতে পারবেন। প্রতিটি অঙ্গের জন্য আলাদা-আলাদা করে ব্যায়াম করার প্রয়োজন নেই। এতে সময় অনেক বাঁচে।
৬) শুধু মাংসপেশি নয়, হাড়ও মজবুত হয় স্কিপিং করলে। ভবিষ্যতে অস্টিয়োপোরোসিস বা আর্থারাইটিসের মতো সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
৭) ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্যও এই ব্যয়াম দারুণ উপকারী।