দই নিঃসন্দেহে উপকারী। ছবি- প্রতীকী
দুধ না কি ঘোল—কোনটি বেশি উপকারী? এ নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে অহর্নিশ। তবে বেশির ভাগেরই ধারণা, শরীরের যত্ন নিতে দই সবচেয়ে বেশি উপকারী। পুষ্টিবিদরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, দই নিঃসন্দেহে উপকারী। তবে কম যায় না ঘোলও। কিছু ক্ষেত্রে টক দইকে টেক্কা দেয় ঘোল। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি নানা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতেও সাহায্য করে দই। এই দই পাতলা করেই তৈরি হয় ঘোল। দইয়ের চেয় ঘোল দ্রুত হজম হয়। ঘোলে জলের পরিমাণ বেশি। শরীর আর্দ্র রাখতে ঘোলের চেয়ে দই বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
ঘোল আর কী ভাবে শরীরের যত্ন নেয়?
১) দ্রুত রোগা হতে চান? রোজের পাতে রাখতে পারেন ঘোল। শরীরের জমে থাকা দূষিত পদার্থ বার করে দেয় এই পানীয়। ফলে ওজন কমানোর পর্বে ঘোল রাখলে মিলবে সুফল।
খেয়ে অস্বস্তি হলে, চটজলদি সুস্থ হতে খেতে পারেন এক গ্লাস ঘোল।
৩) ‘ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট’ মানুষের সংখ্যা কিন্তু কম নয়। তবে দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবারে সমস্যা থাকলেও খেতে পারেন ঘোল। শরীরে ক্যালশিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।
৪) ঘরোয়া উপায়ে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? রোজ এক বার করে খেতে পারেন এই পানীয়। রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে ঘোল।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘোলের জুড়ি মেলা ভার। অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ ঘোল বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা কমায়।