Risk Factors of Glaucoma

ডায়াবেটিকদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি, অল্প বয়স থেকে সাবধান না হলেই হারাতে পারেন দৃষ্টিশক্তি

গ্লকোমা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি ভাল বলেই এই রোগ হানা দেবে না, এমন কোনও মানে নেই। জেনে নিন কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর গ্লকোমার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৩
Does only elderly people get affected by glaucoma.

কাদের গ্লকোমার ঝুঁকি বেশি? ছবি: সংগৃহীত।

বয়স আট হোক আশি, যে কোনও বয়সেই মানুষের চোখেই থাবা বসাতে পারে গ্লকোমা। সঠিক সময়ে ধরা না পড়লে, চিকিৎসা শুরু না করলে এই রোগ দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিতে পারে। চোখের মধ্যে যে অংশ দিয়ে তরল চলাচল করে, সেই রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তা জমে চোখের অপটিক স্নায়ুর উপর বাড়তি চাপ সেই চাপ বাড়তে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমতে থাকে, পরবর্তী কালে যা অন্ধত্ব ডেকে আনে। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিটা শুরু হয় পরিধির চারপাশ থেকে, তাই গ্লকোমায় আক্রান্ত রোগীদের ‘সাইড ভিশন’ নষ্ট হতে থাকে। চোখের ভিতর জল তৈরি হতে থাকে, অথচ বেরোনোর জায়গা পায় না— এর ফলেই তা দুর্বল জায়গাগুলিতে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কোনও পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি যদি বলেন, তিনি পাশের দিকে দেখতে পারছেন না, তা হলে বুঝতে হবে, ক্ষতি অনেক দূর ছড়িয়ে গিয়েছে।

Advertisement

অনেকে বলেন, অত্যধিক স্ক্রিন টাইম হলে গ্লকোমার ঝুঁকি তৈরি হয়। তবে এখনও কোনও গবেষণায় এই তথ্য প্রমাণিত হয়নি। গ্লকোমা যে কোনও বয়সেই হতে পারে। দৃষ্টিশক্তি ভাল বলেই এই রোগ হানা দেবে না, এমন কোনও মানে নেই। চোখে ছানি পড়ার সঙ্গে গ্লকোমার কোনও রকম সম্পর্ক নেই। সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, বছরে অন্তত এক বার চোখ পরীক্ষা করালেই গ্লকোমার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। জেনে নিন কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর গ্লকোমার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

১) পরিবারে কারও বা নিজের ডায়াবিটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে গ্লকোমার আশঙ্কা বাড়তে পারে।

Does only elderly people get affected by glaucoma.

জেনে নিন কোন কোন রিস্ক ফ্যাক্টর গ্লকোমার আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।

২) যাঁরা স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ নেন নিয়মিত, তাঁদেরও গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকতে পারে। যাঁরা নেন ইনহেলার, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

৩) কোনও সময়ে চোখে গুরুতর চোট-আঘাত লাগলে পরবর্তী কালে সেখান থেকেও গ্লকোমা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।

৪) চিকিৎসক এক বার পাওয়ার সেট করে দেওয়ার পরে সাধারণত আর এক-দেড় বছরের মধ্যে তা বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। তবে যদি মাস কয়েকের মধ্যে বার বার পাওয়ার বেড়ে যায়, তা গ্লকোমায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement