ছবি: সংগৃহীত
বিচ্ছেদ অনেক সময় জীবনে বড়সড় বদল ঘটিয়ে দেয়। ২৯ বছর বয়সি মারিসা পুল। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দীর্ঘ ১৪ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি পড়ে। বিবাহবিচ্ছেদের পর একটা মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল। কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। বিচ্ছেদের পর পর দুই সন্তানের মধ্যে একজনকে বড় করে তোলার দায়িত্ব পড়েছে তাঁর কাঁধে। বিয়ের পর থেকে স্বামী, সংসার আর সন্তানকে নিয়েই জগৎ ছিল মারিসার। নিজের দিকে তাকানোর ফুরসত পাননি। তাই বিচ্ছেদ পরবর্তী এই সময়ে নিজেকে বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন মারিসা।
চুল থেকে নখ— নিজেকে আদ্যপান্ত পরিবর্তনের চাদরে মুড়িয়ে নিলেন মারিসা। বেশভূষা থেকে কেশসজ্জা সবেতেই রয়েছে নতুনত্বের ছাপ। আগের মারিসার সঙ্গে এখনকার কোনও মিল নেই। দাম্পত্যে সম্পর্কে থাকাকালীন মারিসা সারা দিন শুধু সংসারের কাজ-ই করতেন। তাঁর সাজগোজও ছিল একেবারে ছাপোষা। খুব দরকার না পড়লে যেতেন না বিউটিপার্লারেও। সেই মারিসাকে এখন দেখলে চেনা দায়। পরনে সালোয়ার কামিজের বদলে আঁটসাঁট জিনস্, টি-শার্ট। চুল কৃত্রিমভাবে কোঁকড়ানো। সারা শরীরে মোট সাতটি ট্যাটু। কানে বড় বড় দুল। ঠোঁটে এবং নাভি মিলিয়ে সাতটি পিয়ার্সিং। গৃহবধূ মারিসার এমন বদলে বিস্মিত হয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় নিজের আগের এবং এখনকার একটি ছবি পাশাপাশি রেখে ভাগ করে নিয়েছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে ছবির উপরে লিখেছেন, ‘‘বাইরে থেকে ভাল থাকলেই মন থেকে ভাল থাকা সম্ভব।’’ কোন প্রসাধনী ব্যবহার করতেন। এখন বাইরে যাওয়ার আগে বেশ সময় নিয়ে মেক আপও করেন মারিসা।