খুশকি তাড়াতে চাইলে শুধু শ্যাম্পু করলেই হবে না। ছবি: সংগৃহীত।
শারীরিক কোনও জটিলতা নেই। চুলে নানা রকম কায়দা করতে গিয়ে রাসায়নিকও ব্যবহার করেননি কোনও দিন। অথচ চুল ঝরে যাচ্ছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, তেমন মারাত্মক কোনও সমস্যা না থাকলেও মাথায় থাকা খুশকিকে হালকা ভাবে নেওয়ার কিন্তু কোনও কারণ নেই। সামান্য একটু-আধটু খুশকি থেকেই চুল পড়ার পরিমাণ মারাত্মক হারে বেড়ে যেতে পারে। শীতকালে খুশকি যতটা চোখে পড়ে, অন্যান্য সময়ে ততটা পড়ে না। তার মানে কিন্তু এই নয় যে, বছরের অন্যান্য সময়ে মাথায় খুশকি থাকে না। খুশকি দূর করার শ্যাম্পু ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে সাময়িক রেহাই মিললেও তা পুরোপুরি নির্মূল করতে পারে না। আপাত ভাবে সব দোষ প্রসাধনীর উপর গিয়ে পড়লেও খুশকির বাড়বাড়ন্ত হওয়ার পিছনে রোজের খাবার অর্থাৎ ডায়েটের হাত রয়েছে।
কোন কোন খাবার খেলে মাথার ত্বকের সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে?
১) অতিরিক্ত মিষ্টি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাচ্ছেন কি?
মাথার ত্বক ভাল রাখতে গেলে এই ধরনের খাবার খাওয়া একেবারেই বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই ধরনের খাবারগুলি মাথার ত্বকে সংক্রমণ বিস্তার করতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, পানীয় এবং ভাজাভুজি খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভাল।
২) ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাব হচ্ছে না তো?
মাথার ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে পারে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। তাই প্রতি দিনের ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে, যেগুলির মধ্যে এই উপাদানটি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। সামুদ্রিক মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড, আখরোটের মতো খাবার খেলে মাথায় খুশকি সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩) ভিটামিন বি এবং জ়িঙ্কের অভাব আছে কি?
মাথার ত্বকের পিএইচের সমতা বজার রাখতে ভিটামিন বি এবং জ়িঙ্কেরও যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। মাথায় খুশকি হওয়ার অন্যতম কারণ ত্বকে আর্দ্রতার অভাব। শুধু জল কিন্তু সেই অভাব পূরণ করতে পারে না।
৪) দুগ্ধজাত খাবার বেশি খান?
অনেকেই বলেন, দুগ্ধজাত খাবার বেশি খেলে খুশকির সমস্যা বেড়ে যায়। তবে, এই যুক্তির কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। চিকিৎসকেরা বলছেন, এমনটা হতেই পারে যে কারও দুধে বা দুগ্ধজাত খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মাথার ত্বকে সংক্রমণ হওয়া স্বাভাবিক।
৫) মদ্যপান করার অভ্যাস রয়েছে?
অতিরিক্ত মদ্যপান করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। সেই কারণে দেহের অন্যান্য অংশ তো বটেই, মাথার ত্বকও শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। ফলে মাথার ত্বকে সংক্রমণ হওয়া অস্বাভাবিক নয়।