Air pollution

দীপাবলির মরসুমে বাড়ে বায়ুদূষণ, ফুসফুসের সুরক্ষায় কোন ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি?

চিকিৎসকদের মতে, শুধু কাশি নয়, শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণের জন্যও দায়ী দূষিত বায়ু। দীর্ঘ দিন ধরে সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া-সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২২ ১৮:০০
বিধিনিষেধের কড়াকড়ি না থাকলেও বাইরে বেরোলেই এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করুন।

বিধিনিষেধের কড়াকড়ি না থাকলেও বাইরে বেরোলেই এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করুন। ছবি : সংগৃহীত

কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক পর্ষদ, সিপিসিবি-র তথ্য অনুযায়ী দীপাবলির আগেই দিল্লিতে বায়ুদূষণের মাত্রা কিন্তু লাল সঙ্কেত দিতে শুরু করেছে। পিছিয়ে নেই কলকাতাও। সামনেই দীপাবলি। বাজির ধোঁয়া, ধোঁয়াশা, শুষ্ক ধূলিকণা— সব মিলে ফুসফুস সংক্রান্ত রোগের একেবারে পোয়াবারো।

পুজোর পর থেকেই আবহাওয়ায় বেশ শীতের আমেজ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বকেও জলের অভাব অনুভূত হচ্ছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর কণাগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে।

Advertisement

চিকিৎসকদের মতে, শুধু শুকনো কাশি নয়, শ্বাসনালির উপরে এবং নীচের ট্র্যাকে সংক্রমণের জন্যও দায়ী এই দূষিত বায়ু। দীর্ঘ দিন ধরে সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া-সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

প্রাতঃভ্রমণের অভ্যাস থাকলে এই ক’টা দিন তা বন্ধ রাখুন।

প্রাতঃভ্রমণের অভ্যাস থাকলে এই ক’টা দিন তা বন্ধ রাখুন। ছবি : সংগৃহীত

এই মরসুমে ফুসফুসের সমস্যা থেকে বাঁচতে চিকিৎসকরা কী পরামর্শ দিচ্ছেন?

১) ধোঁয়া ছড়ায় এমন জিনিস যেমন ধূপ, ধুনো, উনুন থেকে দূরে থাকুন। বদ্ধ জায়গায় ধূমপান করবেন না। ঘরের মধ্যে অন্য কেউ ধূমপান করলে সেখান থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

২) প্রাতঃভ্রমণের অভ্যাস থাকলে এই ক’টা দিন তা বন্ধ রাখুন। একান্ত যদি হাঁটতেই হয়, তবে সকাল ১০টার পর যেতে পারেন। কারণ, ঠান্ডার সময়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই ভোরবেলা বাইরে বেরোলে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে দূষিত বায়ুও আপনার শরীরে প্রবেশ করে। চিকিৎসকদের মতে, এই সময়ে সকালে না হেঁটে ৩টের পর বা বিকেলে হাঁটতে যেতেই পারেন।

৩) প্রবীণ নাগরিকরা সময় থাকতে ফ্লু-এর টিকা নিয়ে রাখুন। বিশেষ করে যাঁদের ফুসফুস সংক্রান্ত সমস্যা আছে, তাঁরা দূষণজনিত সমস্যা কোভিডের হাত বাঁচতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা নিন।

৪) বিধি-নিষেধের কড়াকড়ি না থাকলেও বাইরে বেরোলেই এন৯৫ মাস্ক ব্যবহার করুন। শুধু দূষণ এড়াতেই নয়, ধুলো-ধোঁয়া থেকে অ্যালার্জির প্রবণতা থাকলে, তা-ও এড়িয়ে চলা যাবে।

৫) জানলার বা দরজার পর্দা, বিছানার চাদর পরিষ্কার করতে ভ্যাকিউম ক্লিনার ব্যবহার না করে এক-দু’সপ্তাহ অন্তর গরম জল এবং সাবান দিয়ে কেচে ফেলুন। কার্পেটের মতো ভারী জিনিস বাড়িতে কাচতে সমস্যা হলে এখন কার্পেট ব্যবহার না করাই ভাল।

Advertisement
আরও পড়ুন