ঘুম কম হচ্ছে না তো?
ইদানীং আশপাশের অনেক মানুষকেই বলতে শোনা যায় যে তাঁরা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন। অল্পবয়সিদের ক্ষেত্রেও দেখা যায়, সারাদিন নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পরও ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে না। এই অবস্থায় অবিলম্বেই শরণাপন্ন হওয়া উচিত চিকিৎসকের। কারণ ঘুম যদি কম হয়, তবে ঘনিয়ে আসতে পারে মারাত্মক কিছু বিপদ। সারাদিন এক জায়গায় বসে কাজ করে কিংবা অতিমারির দিনগুলিতে বাড়ি থেকে কাজ করার ফলে কায়িক পরিশ্রম কিছুটা কমেছে। কিন্তু ঘুম যদি সাত থেকে আট ঘণ্টার কম হয়, তা হলে দেখা দিতে পারে শারীরিক ও মানসিক নানাবিধ জটিল সমস্যা। যা দীর্ঘস্থায়ী হলে মানুষের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা ভেঙে পড়তে পারে।
একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ঘুম কম হলে মানুষ হন স্বল্পায়ু। তবে তার পাশাপাশি আরও কিছু সমস্যা হতে পারে। জেনে নিন কী কী—
১। সর্দি, জ্বর, ঠান্ডা লাগার ভাইরাসের বিপক্ষে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায় যদি ঘুমের প্রবল ঘাটতি দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে শরীর খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
২। অনিদ্রার ফলে ওজন হঠাৎ বেশি বেড়ে যেতে পারে। উচ্চ রক্তচাপ তথা টাইপ টু ডায়াবিটিসের আশঙ্কাও বেড়ে যায় ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে না হলে। চিকিৎসকদের মতে অপর্যাপ্ত ঘুম ডেকে আনতে পারে হৃদ্যন্ত্রের গোলযোগও।
৪। কম ঘুমিয়ে রাস্তায় বেরোলে দুর্ঘটনা ঘটবার আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষ করে আপনি যদি রাত্রে ভাল ভাবে না ঘুমিয়ে সকালে গাড়ি চালানোর চেষ্টা করেন।
৫। যৌনমিলনের আকাঙ্খাও কমিয়ে দিতে পারে অনিদ্রা। পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোনের পরিমাণ কমে যেতে পারে এই অবস্থায়।
৬। ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে কম ঘুমের সমস্যার জেরে ঘটতে পারে মনোসংযোগের অভাব। পড়া মনে রাখতে সমস্যা হতে পারে। স্মৃতিশক্তির সঙ্গে ঘুম কম হওয়ার সম্পর্কও অত্যন্ত গভীর।