COVID 19

Post Covid: করোনার পর হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি এড়াতে চান? প্রতি ৬ মাস অন্তর পরীক্ষা করান

কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেক রোগীই হৃদযন্ত্রের একাধিক সমস্যায় ভুগছেন। সু্স্থ খাবারদাওয়ার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করানোও জরুরি।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২১ ১৫:২৩
করোনার কারণে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ছে।

করোনার কারণে হৃদ্‌রোগের আশঙ্কা বাড়ছে। ছবি: সংগৃহীত

কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর অনেক রোগীর মধ্যেই হৃদযন্ত্রের নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কোথাও কিছু নেই হঠাৎ বুকে ব্যথা, বুক ধড়ফড় করা। কিংবা আকস্মিক হার্ট অ্যাটাক, হৃদযন্ত্রের বৃদ্ধি, হার্ট ফেল করা, হৃদযন্ত্রের পাম্পিং কম হওয়া, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। করোনা-পরবর্তী এই সব হৃদরোগের সমস্যা থেকে বাঁচতে বিশেষজ্ঞেরা বলছেন প্রতি ছ’ মাস অন্তর হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা করানো দরকার।

কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরপরই যে হৃদরোগের সমস্যা দেখা দেবে, এরকম নয়। হতেই পারে সেরে ওঠার অনেক দিন পর এই রকম সমস্যা দেখা দিল। সমীক্ষা বলছে কোভিড থেকে সেরে ওঠা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭৮ জনেরই হয় হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিংবা হৃদরোগসংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিয়েছে। যাঁদের কোনওদিনই হৃদরোগের কোনও সমস্যা ছিল না, তাঁদেরও কোভিডের কারণে ‘কার্ডিয়াক ইনজুরি’ হতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বুক ধড়ফড় করা, বুকে ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হচ্ছে। কোভিডের কারণে দীর্ঘ দিনের অসুস্থতা, বিছানায় নিষ্ক্রিয়ভাবে শুয়ে থাকা ইত্যাদি কারণেও এগুলি হতে পারে। করোনা হওয়ার আগে যাঁদের কোনও হৃদরোগের সমস্যা ছিল না, এরকম প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।

Advertisement
সমস্যা এড়াতে নিয়মিত পরীক্ষা করানো দরকার।

সমস্যা এড়াতে নিয়মিত পরীক্ষা করানো দরকার।

কী করা উচিত?

সমস্যা হচ্ছে বুঝতে পারলে আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া যাঁদের আগে থেকেই হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, তাঁরা নিয়মিত ওষুধ খান ও পরীক্ষা করান। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর প্রতি ছ’মাস অন্তর ইসিজি, চেস্ট এক্স রে, লিপিড প্রোফাইল করানো জরুরি। বিশেষ করে যাঁদের ডায়াবিটিস ও হাইপারটেনশনের সমস্যা রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই এটা করতে হবে। নিয়মিত এই ভাবে পরীক্ষা করালে ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে হৃদযন্ত্রের কোনও ক্ষতি হলে আগেই ধরা পড়বে।

হৃদযন্ত্র ভাল রাখতে কী করবেন?

নিয়মিত স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার খান। তেল মশলাদার ও ভাজাভুজি খাওয়া একেবারে বন্ধ করুন। ওজন ধরে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। অ্যালকোহল ও ধূমপানের নেশা থেকে দূরে থাকুন।

Advertisement
আরও পড়ুন