প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ডায়াবেটিসের মতো রোগ কোভিড পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলতে পারে। এবং কোভিড সেরে যাওয়ার পরও জটিলতার প্রবণতা থেকেই যায়। নানা ধরনের ফাঙ্গাল সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। আবার হালের গবেষণা বলছে, যাঁদের কখনও ডায়াবেটিস ছিল না, কোভিডের পর অনেকেরই এই রোগ নতুন করে ধরা পড়ছে। তাই কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১। নিয়মিত রক্তে শর্করা মাত্রা পরীক্ষা করুন। রিপোর্ট অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
২। রক্তচাপও মাপুন। হাইপারটেনশন যাতে না হয়ে যায়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩। ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে মিউকরমাইকোসিস হওয়ার সম্ভবনা বেশি। তাই মাথা ব্যথা, নাকে কালচে ছোপ, দাঁতে ব্যথা, মুখ অবশ হয়ে যাওয়া, নাক দিয়ে চাপা কালো রক্ত পড়ার মতো উপসর্গ নিয়ে খুব সচেতন থাকুন। নাক-কান-গলার চিকিৎসকের কাছে পরীক্ষা করে নিতে পারেন।
৪। কোভিড চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয়েছে যাঁদের, তাঁরা অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করাবেন। অনেক ‘নিউ ডায়াবেটিস’ রোগী ধরা পড়ছেন রক্ত পরীক্ষা করার পর। মানে আগে যাঁদের ডায়াবেটিস ছিল না, তাঁদেরও কোভিডের পর এই রোগ হওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।
৫। খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী জানাচ্ছেন, প্রোটিন খাওয়ার জন্য অনেকেই বাজার থেকে আনিয়ে প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাচ্ছেন। কিন্তু এই ড্রিঙ্কগুলোয় প্রচুর পরিমাণে সুগার থাকে। তাই এর বদলে সাধারণ মাছ-চিকেন-দই-ছানা খাওয়াই ভাল।
৬। ফলের রস খেতে চাইলে টাটকা ফলের রস তৈরি করুন। বাজারের ক্যান্ড ফলের রসে প্রচুর বাড়তি চিনি দেওয়া থাকে।
৭। পাতিলেবুতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। কিন্তু লেবুর সরবতে চিনি মেশাবেন না।
৮। শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরী। কোভিড হওয়ার পর শরীরে ক্লান্তি থেকে যায় বহুদিন। তাই বিশ্রাম নিতে হয়। এতে শরীরের নড়াচড়াও অনেকটা কমে যায়। স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করা মাত্রা বেড়ে যায়। সেটা ঠিক করতে হলে অল্প অল্প করে শরীরচর্চা শুরু করুন। প্রথমেই শরীরকে বাড়তি চাপ দেবেন না। সহজ যোগাসন করতে পারেন। নিঃশ্বাসের ব্যায়াম করুন।