প্রতীকী ছবি।
করোনার তৃতীয় ঢেউ না এলেও তার পরিপূরক হিসাবে উত্থান ঘটেছে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রনের। শহর কলকাতাতে ওমিক্রনের খুব বাড়বাড়ন্ত না থাকলেও পশ্চিমী দেশগুলিতে ওমিক্রন থাবা বসাচ্ছে নিঃশব্দে। শুধু আমেরিকাতেই এই নতুন রূপের সংক্রমণ প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি। শীতকালের লম্বা ছুটিতে অথবা কাজের সূত্রে অনেকেই বিদেশ সফরে যান। তাই বিমানে চাপার আগে সুস্থ থাকতে বাড়তি সুরক্ষাবিধি মেনে চলা এই সময়ে বিশেষ করে প্রয়োজন।
বিমান সফরে সংক্রমণ এড়াতে কী কী করবেন?
বিমানে চেপেই যেখানে সেখানে হাত দেবেন না। সঙ্গে রাখুন স্যানিটাইজার, মাস্ক। বোর্ডিং এর সময় যথা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। বিমানের বাকি যাত্রীদের সঙ্গে দূরত্ববিধি বজায় রাখুন। বিমানের মধ্যে সব সময় মুখে পরে থাকুন মাস্ক। বিমানে জল বা অন্যান্য পানীয় ছাড়া হাত দিয়ে খেতে হয় এমন কিছু না খাওয়াই ভাল। তাই নিজের খাবার সঙ্গে রাখাই ভাল।
বিমানে খাবার সময়ে মাস্ক কী খুলে রাখবেন?
অল্প সময়ের জন্যে বিমানে চাপলে আলাদা করে খাওয়াদাওয়ার কোনও ঝক্কি থাকে না। কিন্তু অনেকটা দূরের কোনও পথ হলে বা ১০ ঘণ্টার ফ্লাইট হলে খাওয়াটা জরুরি। খাওয়ার সময় স্বাভাবিক ভাবেই মাস্ক খুলতে হবে। তবে সে ক্ষেত্রে পাশাপাশি বসা যাত্রীরা যদি সকলেই মাস্ক খুলে রাখেন তা হলে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। তাই খাওয়ার সময়টা একটু এ দিক-ও দিক করলে সকলকে একসঙ্গে মাস্ক খুলতে হয় না।
দুটি টিকা নেওয়া থাকলে কী সংক্রমণের ঝুঁকি খানিক কমে?
বিশ্বের সব বিমান সংস্থাগুলি বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে করোনার দুটি টিকা বাধ্যতামূলক করেছে। তার মানে এটি মনে করার কোনও কারণ নেই যে, করোনা প্রতিষেধক নেওয়া থাকলেই আর অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও চলবে। টিকার পাশাপাশি মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার অব্যাহত রাখতে হবে।
বিমানে যদি কোনও ওমিক্রন আক্রান্ত ব্যক্তি থাকেন, কী করবেন?
প্রথমেই যেটি করবেন, অযথা আতঙ্ক ছড়াবেন না। নিজের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব আপনার নিজের। তাই কোনও ভাবেই মাস্ক খুলবেন না। অন্যত্র কোথাও হাত দেবেন না। প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর হাতে স্যানিটাইজার লাগান। মাস্কের পরত বাড়ান। কাপড়ের মাস্কের পরিবর্তে চিকিৎসকরা যে ধরনের মাস্ক ব্যবহার করেন সেগুলি ব্যবহার করুন। ফেস শিল্ড ব্যবহার করুন। বারে বারে মুখে হাত দেবেন না।
বিমানে কী ভাবে নেবেন শিশুর বাড়তি যত্ন
একেবারে ছোট বাচ্চা নিয়ে এই সময় বিমানে না ওঠাই ভাল। তবে বাচ্চা যদি খানিক বড় হয় সে ক্ষেত্রে প্রথমেই তার জন্যে বিমানে জানলার ধারের জায়গাটি বাছুন। বায়না করলেও মাস্ক পরে থাকতে বাধ্য করুন। খুদের হাতে দিয়ে রাখতে পারেন স্যানিটাইজারের বোতল। খেয়াল রাখুন সিট, বা জানলার গায়ে যেন হাত না দেয়। ঘন ঘন মুখে হাত দেওয়া থেকেও বিরত রাখুন তাকে।