ঠান্ডা জলে স্নান করবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
জাঁকিয়ে ঠান্ডা তেমন পড়েনি। তা সত্ত্বেও গায় ঠান্ডা জল দিতেই ছ্যাঁক করে উঠছে। অনেকেই আবার কালের তোয়াক্কা না করে সারা বছরই ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করেন। অনেকেই বলেন, হার্ট, হাড়, ফুসফুস, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা, অনিদ্রার সমস্যায় আরাম দেয় এই উষ্ণ জল। অফিস থেকে বাড়ি ফিরে সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই গরম জলে স্নান করেন। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, শরীর ভাল রাখতে ঠান্ডা জলে স্নান করারও উপকারিতা রয়েছে। ইদানীং বরফ-জলে স্নান করার একটা প্রবণতা হয়েছে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। বয়স্কদের জন্য এই পন্থা একেবারেই ঠিক নয়। কিন্তু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা কলের জলে স্নান করা যেতেই পারে।
ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীরে কী কী উপকার হয়?
১) রোগ প্রতিরোধে
ঠান্ডা জলে স্নান করলে শরীর থেকে এক প্রকার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান নির্গত হয়। যার ফলে ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির মতো সাধারণ সংক্রামক ব্যধিগুলি ঠেকিয়ে রাখা যায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করেন, তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশ ভাল।
২) অবসাদ কাটাতে
ঠান্ডা জলে স্নান করলে যে মনসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তার কোনও বৈজ্ঞানিক কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তবে অনেকেই বলেছেন, ঠান্ডা জলে স্নান করে অবসাদজনিত সমস্যায় আরাম মিলেছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন স্তরে এখনও পরীক্ষামূলক গবেষণা চলছে।
৩) রক্ত সঞ্চালনে
শরীরে কোথাও আঘাত লাগলে বা রক্ত জমাট বেঁধে গেলে ঠান্ডা জল, বরফ দিতে বলা হয়। যাতে তাড়াতাড়ি রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়ে যেতে পারে। শরীরে প্রদাহ কমাতে, কার্ডিয়োভাসকুলার নানা প্রকার রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে ঠান্ডা জলে স্নান।
৪) বিপাকহার উন্নত করতে
যাঁরা নিয়মিত ঠান্ডা জলে স্নান করেন, তাঁদের বিপাকহারের মান অন্যদের তুলনায় ভাল। ঠান্ডা জলে স্নান করার পর দেহের তাপমাত্রা কমে যায়। তা আবার আগের জায়গায় আনতে শরীরে জমা ফ্যাট পোড়াতে হয়। যা বিপাকহারেও গতি বাড়িয়ে তোলে।
৫) পেশির ব্যথায়
শরীরচর্চা করার পর পেশিতে ব্যথা হলে উষ্ণ জলে স্নান করতে বলেন প্রশিক্ষকেরা। কিন্তু পেশিতে যদি ক্ষত হয় বা আঘাত লাগে, সে ক্ষেত্রে আবার আরাম দেয় ঠান্ডা জল।