কেন খাবেন কিশমিশ? ছবি: সংগৃহীত।
পোলাও, পায়েস কিংবা বড়দিনের কেক— কিশমিশ ছাড়া এই সব খাবারের স্বাদ একেবারেই খোলে না। তবে শুধু স্বাদের জন্য নয়, কিশমিশ বা শুকনো আঙুর স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল। ভিটামিন বি এবং সি, আয়রন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর কিশমিশ, নানা রকম রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। স্বাদ এবং স্বাস্থ্য, দুইয়ের খেয়াল রাখতে রোজ কয়েকটি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরাও।
১) ক্লান্তি কাটাতে
কিশমিশে রয়েছে ফ্রুক্টোজ় এবং গ্লুকোজ়ের মতো প্রাকৃতিক শর্করা। যা কাজের একঘেয়েমি বা ক্লান্তি কাটাতে সাহায্য করে। শরীরচর্চা করার আগে বা পরে, একমুঠো কিশমিশ খেলে ক্লান্তি কাটে। শরীর আবার চনমনে হয়ে ওঠে।
২) ফাইবারে ভরপুর
কিশমিশে রয়েছে সহজপাচ্য ফাইবার। যা হজমশক্তি ভাল রাখতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করা— সবেতেই কিশমিশ উপকারী।
৩) হাড়ের জোর বাড়ে
ক্যালশিয়াম এবং বোরনের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান রয়েছে কিশমিশে। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যা বয়সকালে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ রুখে দিতে পারে।
৪) হার্টের জন্য ভাল
কিশমিশে যে পরিমাণ ফাইবার, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, তা হার্ট ভাল রাখতে সাহায্য করে। হার্টের জন্য রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ফাইবার সেই কাজটি খুব ভাল ভাবে করতে পারে। তা ছাড়া কিশমিশে যে পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে, তা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতেও সাহায্য করে।
৫) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে পটাশিয়াম। কিশমিশের মধ্যে এই উপাদানটির মাত্রা অনেকটাই বেশি। শরীরে নুনের ভারসাম্য বজায় রাখতে কিশমিশের জুড়ি মেলা ভার।