বংশগত কারণেও কম বয়সে অনেকেরই ওজন বেড়ে যেতে পারে। ছবি- প্রতীকী
বাচ্চাদের মধ্যে স্থূলত্বের সমস্যা এখন প্রায় গোটা বিশ্বে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শুধু শরীরচর্চা বা ডায়েটের উপর ভরসা রাখলেই চলবে না। নজর দিতে হবে শিশুদের অবসর সময়ের উপরেও। অন্তত হালের গবেষণায় তেমনটাই দাবি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ওই বয়সি শিশুদের মধ্যেও আবার লিঙ্গভেদে স্থূলত্বের পরিমাণ আলাদা।
সেখানে বলা হয়েছে, বয়স এবং উচ্চতার তুলনায় দেহের ওজন অতিরিক্ত হারে বেড়ে যাওয়াকেই সাধারণত স্থূলতার পর্যায়ে ধরা হয়। এই স্থূলতার কারণে হার্টের সমস্যা, রক্তে শর্করার ভারসাম্য, মানসিক সমস্যা এমনকি, অল্প বয়সে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র একটি গবেষণা অনুসারে, ২০২০ সালে ৫ বছরের কম বয়সি তিন জন শিশুর এক জনের মধ্যে স্থূলতার সমস্যা দেখা দিয়েছিল। মূলত কোভিড পরিস্থিতিই এই সমস্যার অন্যতম কারণ। অবশ্য বংশগত কারণেও কম বয়সে অনেকেরই ওজন বেড়ে যেতে পারে।
সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক সেখানকার ৮ থেকে ১০ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে বাড়তে থাকা এই স্থূলত্বের কারণ সম্পর্কে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। শিশুদের অবসর সময়ে এবং বডিমাস ইনডেক্সের জন্য তাদের অভিভাবকদের আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামো সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তাঁরা। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশুস্বাস্থ্যের শিক্ষক লুই বাওর বলেন, “এই সমস্যার মোকাবিলা করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকা যথেষ্ট জরুরি।’’
আজকাল শিশুরা শাক-সব্জি খেতে বিশেষ ভালবাসে না। পরিবর্তে ভাজাভুজি, মিষ্টি জাতীয় খাবার, বাইরের খাবারই তাদের বিশেষ পছন্দ। এই ধরনের খাবারগুলি সব বয়সের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। চিনিযুক্ত পানীয়, পিৎজা, বার্গার, চিপসের মতো বাইরের খাবার সন্তানের রোজের খাদ্যতালিকায় যাতে না থাকে, সে দিকে খেয়াল রাখতেই হবে। কারণ, এই খাবারগুলি অতিরিত্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।