গাজর খেলে চুল ভাল হবে? ছবি: সংগৃহীত।
চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে নিয়মিত গাজর খেতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ, এই সব্জিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি। তবে সমাজমাধ্যমে ঘোরাফেরা করলে দেখা যায়, ইদানীং নেটপ্রভাবীদের কাছে এই রসের গুরুত্ব হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে গাজরের রস অনেকটা ‘ম্যাজিক পোশন’-এর মতো কাজ করে। তা কি আদৌ সত্যি? অনেকেই হয়তো জানেন, গাজরে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন বি। এ ছাড়া পটাশিয়ামের মতো খনিজও রয়েছে এই সব্জিতে।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, গাজরের রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এই ভিটামিনটি ত্বক এবং চুলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের সেবাসিয়াম গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন প্রাকৃতিক তেল বা সেবাম উৎপাদনেও ভিটামিন এ-র ভূমিকা রয়েছে। এই সেবাম কিন্তু মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। শরীরে ভিটামিন এ-র ঘাটতি হলে চুল রুক্ষ হয়ে পড়ে। চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ভিটামিন সি কোলাজেন সিন্থেসিসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। চুলের গঠন এবং মান ভাল রাখতে সাহায্য করে এই প্রোটিন। চুল মজবুত করতে এবং ইলাস্টিসিটি বজায় রাখতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি অন্ত্র থেকে আয়রন শোষণ করতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।
গাজরে খুব অল্প হলেও বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন বি রয়েছে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে বায়োটিন (ভিটামিন বি৭)-এর ভূমিকা রয়েছে। আবার, পরোক্ষ ভাবে হলেও চুলের বাড়বৃদ্ধিতে পটাশিয়ামেরও ভূমিকা রয়েছে। শরীরে ফ্লুইডের সমতা বজায় রাখে এই খনিজটি।
নতুন চুল গজানো এবং চুল পড়ার যে স্বাভাবিক চক্র তা পুষ্টির উপর নির্ভর করলেও চিকিৎসকেরা বলছেন, কার চুলের বাড়বৃদ্ধি কেমন হবে তা অনেকটা নির্ভর করে জিন, হরমোন এবং পরিবেশগত নানা বিষয়ের উপর।