মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে এই অসুখ বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। ছবি: সংগৃহীত।
হাঁপানি কিংবা অ্যাজ়মার সমস্যা শীতকালেই বেশি হয়। এমন ধারণা অনেকের আছে। তবে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। বছরের যে কোনও সময়ে হাঁপানির সমস্যা বাড়তে পারে। মূলত আবহাওয়া পরিবর্তনের সময়ে এই অসুখ বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে।
হাঁপানি আছে বলে অনেকেই শরীরচর্চা এড়িয়ে চলেন। ব্যায়াম করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে ভেবেই মূলত শরীরচর্চা থেকে দূরে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা কি আদৌ ঠিক? এটা ঠিক যে, হাঁপানি থাকলে কোনও শরীরচর্চা করার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা জরুরি। নিজে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, হাঁপানির সমস্যা থাকলে কোনও শরীরচর্চা করাই যাবে না, এমন নয়। কিছু শরীরচর্চা আছে যেগুলি নিয়মিত করলে সত্যিই উপকার পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করলে শুধু হাঁপানি নয়, সে সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে। শ্বাস নেওয়ার সমস্যাও অনেকটা কমে শরীরচর্চার অভ্যাসে।
হাঁপানি থাকলেও শরীরচর্চা করতে পারেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কী ধরনের শরীরচর্চা করছেন, সেটা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। দৌড়নো, বাস্কেটবল কিংবা ওজন তোলার মতো শরীরচর্চা কিন্তু হাঁপানির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে হাঁটাচলা, সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, যোগাসন করার মতো শরীরচর্চা কিন্তু করতে পারেন। তাতে অসুবিধা হবে না। বরং এই ধরনের ক্রিয়াকলাপে শরীর সুস্থ থাকবে।
শরীরচর্চা করার সময়ে কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ রাখা জরুরি। শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, কাশি কিংবা বুকে ব্যথার মতো কোনও সমস্যা হলে সেই মুহূর্তে শরীরচর্চা বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। এই লক্ষণগুলি ইঙ্গিত করে যে বেশি পরিশ্রম হচ্ছে। হাঁপানি রোগের ক্ষেত্রে যত কম পরিশ্রম করা যায়, ততই ভাল।
শীতে ছাড়াও গরমেও হাঁপানির সমস্যায় ঘরবন্দি থাকেন অনেকেই। সুস্থ থাকতে নিয়ম করে কয়েকটি হালকা আসন করা যেতেই পারে। তবে ভারী কোনও শরীরচর্চা একেবারেই করবেন না। যদি করেনও, তা হলে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিন।