ডায়াবিটিস থাকলে ডিম খাওয়া যেতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত
শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বাধার নির্দিষ্ট কোনও বয়স হয় না। বয়স বাড়ার সঙ্গে কিছু ক্রনিক রোগ শরীরে ধীরে ধীরে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে। ডায়াবিটিস তার মধ্যে অন্যতম। অতিরিক্ত মানসিক উদ্বেগ, খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম, শারীরিক কসরত না করা— এমন কিছু কারণে ডায়াবিটিস হয়।
ডায়াবিটিস হলে রোজের যাপনটাই যেন বদলে যায়। পরিবর্তন আসে খাওয়াদাওয়ায়। চাইলেই সব কিছু খাওয়া যায় না। অনেক নিয়ম মেনে চলতে হয়। ডায়াবিটিস থাকলে ডিম খাওয়া যায় না, অনেকেই এমন ধারণা পোষণ করেন। ডায়াবিটিসের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, সেই আশঙ্কায় ডিম থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। তবে পুষ্টিবিদরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁদের মতে, ডিমের মতো উপকারী জিনিস খুব কমই রয়েছে। ওজন কমানো থেকে সংক্রমণজাতীয় রোগের আশঙ্কা দূর করা— সবেতেই ডিমের ভূমিকা অপরিসীম। কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ে দীর্ঘ দিন ভুগলে ডিম খাওয়ার উপর বাধানিষেধ জারি করা যেতে পারে। কিন্তু ডায়াবিটিস থাকলে ডিম খাওয়া যেতেই পারে।
শরীরে শর্করা বাড়িয়ে দেয় এমন নানা জৈবরাসায়নিক উপাদানের সঙ্গে লড়তে পারে ডিম। দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতি দিন শরীরচর্চা করেন এবং সেদ্ধ ডিম খান, তাঁদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেকটাই।
ডায়াবিটিস রুখতে ডিমের উপর আস্থা রাখতে বলছেন চিকিৎসকরাও। তাঁদের মতে, সেদ্ধ ডিমেও আয়ত্তে থাকবে ডায়াবিটিস। সেদ্ধ ডিম তো ডায়াবিটিস রোখেই, আরও ভাল হয়, যদি কয়েকটি নিয়ম মেনে সেদ্ধ ডিম খাওয়া যায়।
পুষ্টিবিদদের মতে, যে দিন ডিম খাবেন, তার আগের দিন রাত থেকেই কাঁচা ডিম ডুবিয়ে রাখুন ভিনিগারে। পরের দিন সকালে ভিনিগারে ভেজানো সেই ডিমসেদ্ধ করে খান। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের অন্যতম হাতিয়ার দারুচিনি। শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে দারুচিনি। তাই ভিনিগারে ডুবিয়ে রাখা ডিমকে পরের দিন সেদ্ধ করে খাওয়ার সময় ছড়িয়ে নিন দারুচিনির গুঁড়ো। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।