পেট গোলমাল করলে কোনও ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত
আপাত ভাবে মনে হতে পারে, মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে পেটের কোনও সম্পর্ক নেই। কিন্তু আদতে তা নয়। মানসিক অবসাদে ভুগলে তার কুপ্রভাব পড়তে পারে পেটের উপরেও। আবার পেটের গোলমাল ডেকে আনতে পারে উদ্বেগ, অবসাদ। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
চিকিৎসকরা বলছেন, পেট এবং মস্তিষ্কের মধ্যে ‘ভেগাস’ নামক স্নায়ু রয়েছে। যা এই দুই অঙ্গের মধ্যে যোগসূত্রের কাজ করে। এই স্নায়ু মস্তিষ্কের নানা কাজে প্রভাব ফেলে। তার মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য যেমন রয়েছে, তেমনই রয়েছে হৃদ্যন্ত্রের কার্যকলাপও। তাই পেট গোলমাল করলে কোনও ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগতে পারেন। এই সমস্যা ব্যক্তির মনে নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতাও ডেকে আনতে পারে।
এক পুষ্টিবিদ সাম্প্রতিক একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন। পুষ্টিবিদ স্মৃতি কোচারের মতে, পেটের সমস্যাও মানসিক স্বাস্থ্যের হানি করতে পারে। মানসিক অবসাদে ভুগলে নিজের চিন্তাধারাকে দায়ী না করে আগে লক্ষ করুন আপনার পেটের স্বাস্থ্য ভাল আছে কি না।
কোচার বলেছেন, নেতিবাচক চিন্তা উদ্বেগের একটি উপসর্গ। আর এই নেতিবাচক চিন্তাকে সে ভাবে কেউ আমল দিতে চান না। বহু মানুষকেই তাঁর নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনার জন্য নিজেকেই দোষারোপ করেন। তবে, দোষ তাঁর নয়। দোষ তাঁর পেটের! অন্ত্রে গোলমালের জেরে এই সমস্যা বেড়ে যায়। গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, অম্বল মানসিক স্বাস্থ্যে কুপ্রভাব ফেলে। তবে স্মৃতি কোচর বলছেন, পেটের সমস্যা মানেই মুঠো মুঠো ওষুধ নয়। সমস্যার সমাধানে একাধিক পন্থা রয়েছে, যা ওষুধ ব্যবহার না করেও করা যায়।