প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে প্রতি দিন গড়ে ৪৫-৬৫ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়।
বেশির ভাগ বাঙালি বাড়িতে রোজের পাতে ভাতের সঙ্গে থাকে মুগ কিংবা মুসুর ডাল। আর যদি থাকে লুচি, তা হলে সঙ্গে ছোলার ডাল থাকবে না, তা আবার কখনও হয় নাকি? মাঝেমধ্যেই মটর, বিউলি কিংবা অড়হর ডাল হলেও মন্দ হয় না! রাতে রুটির সঙ্গে আবার জমে যায় ডিম তরকা! ডাল ছাড়া আমাদের খাওয়া হয় না! অনেকেই মনে করেন ডাল খেলেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। তবে এই ধারণা ঠিক নয়।
প্রোটিন শরীরের একটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান। শরীরের যত্ন নিতে, রক্তে শর্করার ভারসাম্য ঠিক রাখতে, ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং সুস্থ থাইরয়েডের জন্য তো বটেই, সর্বোপরি শরীরের সামগ্রিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত প্রোটিনের প্রয়োজন। তাই প্রত্যেক দিন শরীরে কতটা প্রোটিন যাচ্ছে, তার দিকে নজর রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদদের মতে, কেবল ডাল খেলেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব নয়। পরিমিত মাত্রায় রুটি কিংবা ভাত খেলে তবেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরে প্রতি দিন গড়ে ৪৫-৬৫ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। খাওয়ার পাতে এক বাটি ডাল খেলে মাত্র ৩ গ্রামের কাছাকাছি প্রোটিন শরীরে যায়, যা মোটেই পর্যাপ্ত নয়।
বিশেষত যাঁরা নিরামিষ খান, তাঁরা ডালের মাধ্যমেই শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করেন। তবে ডালজাতীয় শস্যে সম্পূর্ণ প্রোটিন থাকে না। মিথিওনাইন নামে এক ধরনের প্রোটিন সাধারণত পাওয়া যায় না ডালে। তাই শরীরে প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের চাহিদা পূরণ করতে কেবল ডালের ভরসায় থাকলে হবে না। পুষ্টিবিদরা বলেন, যাঁরা নিরামিষাশী, তাঁদের খাদ্যতালিকায় ডালের পাশাপাশি সয়াবিন, পনির, বিভিন্ন ধরনের বাদাম, কিনুয়া, পিনাট বাটার, ওট্স ইত্যাদি বেশি মাত্রায় রাখা উচিত। দিনের প্রতিটি খাবারে যেন অল্প অল্প মাত্রায় প্রোটিন থাকে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।