জড়তা কাটাতে চাইলে দুধ চায়ের বিকল্প পানীয় বেছে নিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
শীতের সকালে ঘুমভাঙা চোখে আড়মোড়া ছা়ড়তে ছা়ড়তে এক কাপ দুধ চা পেলে আর কিছু চাই না। ঠান্ডা খানিকটা কমে, আবার শরীরও চাঙ্গা হয়। কুয়াশামাখা সকালে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছা করে না একেবারেই। গরম চায়ে চুমুক দিলে ধীরে ধীরে আলসেমি দূর হয়। কম্বল থেকে বেরোতে সুবিধা হয়। কিন্তু এত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও সকালে দুধ চা খেতে বারণ করেন পুষ্টিবিদেরা। কারণ, দুধ চা খেলেই গ্যাস হয়ে যাওয়ার একটা প্রবল আশঙ্কা থাকে। চোঁয়া ঢেকুর, অম্বল, মাথা যন্ত্রণার ঝুঁকি তো থাকেই। চাঙ্গা হতে গিয়ে শারীরিক অসুস্থতা দিয়ে দিন শুরু হোক, সেটা কাম্য নয়। তাই জড়তা কাটাতে চাইলে দুধ চায়ের বিকল্প পানীয় বেছে নিতে হবে।
তুলসী চা
ঠান্ডার মরসুমে সর্দি-কাশি লেগেই থাকে। তবে যদি রোজ এক কাপ করে তুলসী চা খেতে পারেন, তা হলে ঠান্ডা লাগার আশঙ্কা কিন্তু অনেকটাই কমবে। একটি পাত্রে জল গরম করে তাতে তুলসী পাতা ফুটিয়ে নিন। তার পর মধু ও লেবু মিশিয়ে নিলেই তৈরি তুলসী চা। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে। ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে নিয়মিত তুলসী চা খান, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দারচিনি চা
অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে কিন্তু খেতে পারেন দারচিনি চা। শীতের সকালে মন্দ লাগবে না। একটি পাত্রে জল গরম করে দারচিনি গুঁড়ো, লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। তার পর তা ছেঁকে খান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা বিভিন্ন রোগ থেকে শরীরকে বাঁচাতে সহায়তা করে।
পুদিনা চা
বদহজমের সমস্যায় ভুগছেন? পুদিনা পাতার চা খেতে পারেন। জল গরম করে তাতে কুচি কুচি করে কয়েকটা পুদিনা পাতা কেটে মিনিট ১৫ ঢাকা দিয়ে রাখুন। পাতা কেটে দিলে পুদিনার গন্ধটা পুরোটাই পাওয়া যাবে। এই চা খেলে নিমেষেই দূর হয়ে যাবে যে কোনও শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি।