কোন বিশেষ খাবার খেয়ে এত ছিপছিপে ও তরতাজা অনুষ্কা? ছবি: সংগৃহীত।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফুচকা, পিৎজ়া, দেদার ভাজাভুজি খেয়েছিলেন। মশলাদার খাবার খেয়েও কিন্তু ওজন বাড়েনি অনুষ্কার। অভিনেত্রী নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি খেতে খুব ভালবাসেন। যখন যা মন চায়, আশ মিটিয়ে খেয়ে নেন। তবে তার পরেও কিন্তু ওজন বাড়ে না অনুষ্কার। যদিও নিয়ম করে শরীরচর্চা, যোগাসন করেন অভিনেত্রী। পাশাপাশি, রোজ সকালে এমন একটি বিশেষ খাবার খান তিনি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অনুষ্কা জানিয়েছেন, পেট ভাল থাকলেই তার ছাপ পড়বে চোখেমুখে। শরীর চনমনে থাকবে, দেখতেও তরতাজা লাগবে। কিন্তু পেটের সমস্যা শুরু হলেই তখন ক্লান্তির ছাপ পড়বে মুখে। হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো না হলে ওজনও বাড়তে থাকবে। ভাজাভুজি, তেলমশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁকও বাড়বে। ‘বিঞ্জ ইটিং’-এর প্রবণতা দেখা দেবে। তাই রোজ এমন কিছু খেতে হবে, যাতে ভরপুর ভিটামিন, প্রোটিন ও ফাইবার আছে। এই তিন উপাদান থাকলে তা যেমন হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে, তেমনই দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখবে। ফলে যখন-তখন খেতে ইচ্ছে করবে না।
সকালে কী খান অনুষ্কা?
তাজা ফল, বাদাম, চিয়া বীজ, দুধ আর ওট্স— প্রতি দিন সকালে নিয়ম করে খান অনুষ্কা। কখনও সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে স্মুদি বানিয়ে খান, আবার কখনও পরিজ় তৈরি করে নেন। অনুষ্কা জানিয়েছেন, শুটিংয়ে গেলে সেখানেও এই খাবার নিয়ে যান তিনি। পরিজ় বানিয়ে একটি কাচের জারে ভরে নিজের সঙ্গে রাখেন। খিদে পেলেই সেটি খান। এই খাবার শরীর ডিটক্স করে, অর্থাৎ দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বার করে দেয়। পাশাপাশি ভিটামিন সি, ডি, বি১২ এবং খনিজ উপাদান, যেমন ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের চাহিদাও পূরণ করে।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ
২-৩ কাপ ওট্স, ২ চা চামচ চিয়া বীজ, ১ কাপ ডবল টোন্ড দুধ, ২ চা চামচ মধু, শুকনো ফল।
প্রণালী
দুধ ফুটিয়ে নিয়ে তাতে ওট্স ও বাকি উপকরণ মিশিয়ে পরিজ় বানিয়ে নিতে হবে। এ বার একটি বায়ুনিরুদ্ধ কাচের জারে ভরে তা সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। সকালে এর সঙ্গে শুকনো ফল ও মধু মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পুষ্টিকর ওট্সের পরিজ়। অনুষ্কা আবার মাঝেমধ্যে মধুর বদলে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্টও মিশিয়ে দেন। তাতে স্বাদ আরও বেড়ে যায়।