সব সময়েই খবরের শিরোনামে থাকেন অনুষ্কা শর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়েতে চিরাচরিত লাল শাড়ির বদলে হালকা গোলাপি লেহঙ্গায় নিজেকে সাজানো হোক কিংবা ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’-এ ঝুলন গোস্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করার আগে পান্তা ভাত খেয়ে মনে-প্রাণে বাঙালি হয়ে ওঠা হোক— সব সময়েই খবরের শিরোনামে অনুষ্কা শর্মা। অভিনয়, সংসার, মেয়ে ভামিকার দায়িত্ব সামলেও চলতি পর্দার অভিনেতাদের নিয়ে সাধারণ অনুরাগীদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই কৌতূহল তৈরি হয়। এত দায়িত্ব সামলেও কী ভাবে সব সময়ে নিজেকে ফিট এবং চনমনে রাখেন অনুষ্কা, তা জানতে উৎসাহী অনুরাগীরা।
ধারাবাহিক শরীরচর্চা
একসঙ্গে অনেক দায়িত্ব সামলাতে হলে ফিট হওয়া সবচেয়ে জরুরি। সেটাই মনে করেন অভিনেত্রী। তাই নিজেকে ফিট রাখতে চেষ্টার খামতি রাখেন না। কাজ না থাকলে তো বটেই। ব্যস্ততা থাকলেও জিমে যেতে ভোলেন না তিনি। যোগাসন থেকে ওজন তোলা— সবই থাকে তার শরীরচর্চার রুটিনে। শরীর এবং মন চনমনে রাখতে অনুষ্কা শরীরচর্চার সময়ে পছন্দের গানও শোনেন।
সেই সঙ্গে কার্ডিয়ো, পিলেটস, রোপ ট্রেনিং— সবই করেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেও নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন তিনি।
খাওয়াদাওয়া
নিজেকে সুস্থ রাখতে শরীরচর্চা এবং খাওয়াদাওয়া— এই দু’টির উপরে সবচেয়ে বেশি জোর দেন তিনি। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অনুষ্কা জানিয়েছেন নিয়ম করে শরীরচর্চা আর সময়মতো খাওয়াদাওয়া করলেই ফিটনেস বজায় রাখা জরুরি।
ঘুম থেকে উঠেই যেহেতু চুমুক দেন ফলের রসে, তাই সকালের খাবারে খুব ভারী কিছু থাকে না। সামান্য চিজ দেওয়া টোস্ট আর এক গ্লাস ডাবের জল।
অনুষ্কা খুবই স্বল্পহারী। তাই দুপুরের খাবারেও বেশি কিছু খান না অভিনেত্রী। দু’টি রুটি, এক বাটি ডাল, সব্জি এবং স্যালাড— এই থাকে তাঁর দুপুরের খাবারে।
অনুষ্কা অত্যন্ত স্বাস্থ্য সচেতন। খাদ্যতালিকা দেখলেই তা বোঝা যায়। সন্ধেবেলায় খিদে পেলে তাই ফল খান অথবা প্রোটিন শেক। নৈশভোজে থাকে পাতলা রুটি আর চিকেন স্টু। কখনও কখনও এক গ্লাস গরম দুধও থাকে।
রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। তিনি মনে করেন, জলেই ধরা থাকে ওজন কমানোর রহস্য। এ ছাড়াও, নিয়মিত যোগাসন, ব্যায়াম, প্রাণায়াম করেন। রোজ ১৫-৩০ মিনিট নাচ করেন।