—প্রতীকী চিত্র।
পাড়ার দোকানে গিয়ে গায়ে মাখার সাবান কিনতে চাইলে এখনও কাগজে মোড়া নিম, চন্দন কিংবা সুগন্ধি বার সাবানই এগিয়ে দেন দোকানদার। কিন্তু আপনি তো সে ভুলে পা দেবেন না। কারণ, যুগ বদলেছে। ক্ষারযুক্ত বার সাবান গায়ে মাখলে ত্বকের কী অবস্থা হয়, তা আপনি জানেন। তাই বহু দিন আগে থেকেই স্নানের সময়ে গায়ে বডি ওয়াশ মাখতে শুরু করেছেন। সামান্য পরিমাণ তরল সাবান ছোবড়া থুড়ি ‘লুফা’-তে নিয়ে গায়ে কিছু ক্ষণ ঘষলেই কী শান্তি! তবে, যে দিন থেকে বডি ওয়াশের প্রতিপক্ষ শাওয়ার জেল বাজারে এসেছে সে দিন থেকেই অশান্তি শুরু। আর তো নিশ্চিন্তে থাকা চলে না! দেখতে তো একই রকম। কাজও খানিকটা এক। দু’টিই তরল সাবান। সুন্দর গন্ধও আছে। তা হলে বডি ওয়াশ ছেড়ে হঠাৎ শাওয়ার জেল কিনতে যাবেন কেন?
বডি ওয়াশ এবং শাওয়ার জেল কি আলাদা?
বডি ওয়াশ আসলে গায়ে মাখার তরল সাবান। এই তরল সাবানের মধ্যে ময়েশ্চারাইজ়ারের পরিমাণ বেশি। তাই ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে এটি বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। স্নানের সময়ে ত্বক থেকে ধুলো-ময়লা, তেল, ঘামের সঙ্গে জমে থাকা নোংরা দূর করতেও সাহায্য করে।
শাওয়ার জেলের কাজও প্রায় একই রকম। তবে এই তরল সাবান তৈরির পদ্ধতি এবং ঘনত্ব বডি ওয়াশের চেয়ে একটু হলেও আলাদা। এই তরল সাবান ত্বকে মাখলে ফেনাও হয় বেশি। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, বডি ওয়াশের মতো শাওয়ার জেলেও ময়েশ্চারাইজ়ার রয়েছে। তবে, তার ধরন আলাদা। তাই এই প্রসাধনীটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশি কার্যকর।
কার ত্বকের জন্য কোনটি ভাল?
বডি ওয়াশ আর শাওয়ার জেল, কোনটি কার জন্য উপযুক্ত তা নির্ভর করে ওই ব্যক্তির ত্বকের ধরনের উপর। মুখের ত্বক বুঝে যেমন প্রসাধনী কেনেন, তেমনই দেহের ত্বকের ধরন বুঝে তরল সাবান কিনতে হবে। যাঁদের ত্বক শুষ্ক কিংবা স্পর্শকাতর, তাঁরা বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। আবার, যাঁদের দেহের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত, বুকে-পিঠে কিংবা হাতে র্যাশ-ব্রণ হয়, তাঁরা স্নানের সময়ে শাওয়ার জেল মাখলে উপকার পাবেন। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন। অনেকেই হয়তো জানেন না মুখের ত্বক এবং দেহের ত্বকের ধরন আলাদা হয়। তাই মুখের ত্বকের ধরন অনুযায়ী গায়ে মাখার তরল সাবান না কেনাই ভাল।