সন্তানকে যোগাসন শেখান। ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর মন দিয়ে পড়াশোনা করে। কিন্তু পরীক্ষার সময় এলেই সব ভুলে যায়। বাবা-মায়েদের এমন কথা হামেশাই বলতে শোনা যায়। কারণ পরীক্ষার ফলে তার প্রভাব পড়ে। আসলে অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে স্মৃতি মাঝেমাঝেই এমন বিশ্বাসঘাতকতা করে। বয়স বাড়লে এই সমস্যা সর্ব ক্ষণের সঙ্গী। তবে ইদানীং অবশ্য কমবয়সেও এমন সমস্যা বেশি হচ্ছে। তাই বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে দেখা জরুরি, সন্তানকে কোন আসনগুলি করালে সারা বছর ধরে যা প়ড়েছে পরীক্ষায় সেটাই লিখে আসতে পারবে?
হলাসন
প্রথমে চিত হয়ে টানটান করে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি একসঙ্গে জোড়া করে উপরে তুলে ধরে হাত দু’টি দিয়ে কোমর ধরে রাখুন। এ বার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই পা কোমর থেকে ভাঁজ করে হাঁটু ভেঙে পায়ের আঙুল মাটি স্পর্শ করান। এই ভঙ্গিতে শ্বাস-প্রশ্বাস অল্প অল্প করে নিন এবং ছাড়ুন। স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময়ে পা দু’টি টান টান করে উপরের দিকে রাখুন। হাত কোমর থেকে সরিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। কোমর থেকে হাত সরিয়ে নিতম্ব মাটিতে ছোঁয়ান। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পা মাটিতে রাখুন। এই আসনটি দিনে দুই থেকে তিন মিনিট করুন। তবে কারও যদি ঘাড়ে ও কোমরে ব্যথা থাকে, তা হলে এই আসন এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
পশ্চিমোত্তনাসন
প্রথমে দুই পা টানটান করে সোজা হয়ে বসুন। শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত মাথার উপরে তুলুন। শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত-সহ কোমর থেকে সামনের দিকে বেশ খানিকটা ঝুঁকে মুখ হাঁটুতে স্পর্শ করুন। আসন করার সময়ে পেট ভিড়ের দিকে হালকা টেনে রাখুন। আগের অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস নিতে নিতে হাত ওঠান এবং শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে হাত নামিয়ে নিন। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার এটি করুন। পিঠে ব্যথা থাকলে চক্রাসন না করাই উচিত হবে।
চক্রাসন
দুই পায়ের মাঝখানে কাঁধের থেকে দূরত্ব রেখে শুয়ে পড়ুন। পায়ের ভাঁজ করে এমন অবস্থানে রাখুন, যাতে নিতম্বের সঙ্গে গোড়ালির স্পর্শ লাগে। দুই হাত উপরে তুলে মাথার দু’পাশে হাতের তালু দু’টি মাটিতে রাখুন। দীর্ঘশ্বাস নিয়ে প্রথমে নিতম্ব ও কোমর উপরে তুলুন। হাতে ভর রেখে পিঠ ও মাথা উপরে তুলে ফেলুন। আসন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার সময়ে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পিঠ ও তার পরে কোমর নামিয়ে নিন। দৈনিক দুই থেকে পাঁচ বার এটি করুন। তবে যাঁরা উচ্চ রক্তচাপে ভোগেন, তাঁদের এই আসনটি না করাই ভাল