Celebrity Lifestyle

পরিণামের কথা মাথায় রেখে পুজোয় খাওয়াদাওয়ার পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে: টোটা

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছরই শরীরচর্চা করেন টোটা। তবে পুজোর ক’দিন (বলা ভাল প্রায় লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত) পছন্দের খাবারের উপর থেকে সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪ ১৩:০৫
Tota Roy Chowdhury

অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত।

সদ্য আবু ধাবি থেকে ফিরেছেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী। মুম্বই, কলকাতা মিলিয়ে ব্যস্ততা ভালই। তবে শহরে এখন পুজোর আমেজ। তাই পুজোর ক’দিন অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা তাঁর নেই। আলাদা করে ঠাকুর দেখতে না বেরোলেও বিচারক হয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে ঘুরতে হয়। সেই সূত্রেই যা ঠাকুর দেখা। আর বাকি সময়টুকু একেবারেই পরিবারের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করেন টোটা। তবে এ বছর পুজোটা একটু অন্য রকম ভাবেই কাটাবেন তিনি। কারণ, শহরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি। আগে থেকে কোনও পরিকল্পনাও করেননি। কিন্তু জীবন তো নিজের ছন্দে চলে। তাই পুজো এলে খাওয়াদাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠে। পুজোয় সব কিছু খেয়েও কী ভাবে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া যায়, সেই টোটকা আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।

Advertisement

বেশি খেয়ে কেউই খুব একটা হাঁটাচলা করতে চান না। তবে টোটার পরামর্শ, খাওয়াদাওয়ার পর একটু হাঁটাহাটি করাই ভাল। যাঁরা হেঁটে ঠাকুর দেখেন, তাঁদের আলাদা করে আর হাঁটতে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। টোটা বলেন, “আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলও খেতে হবে। রাত জেগে ঠাকুর দেখলে তো ঘুমেরও ঘাটতি হয়। সেটাও কিন্তু শরীরের জন্য খারাপ। এই সব দিকে একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন।”

শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা সারা বছরই শরীরচর্চা করেন টোটা। তবে পুজোর ক’দিন (বলা ভাল প্রায় লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত) পছন্দের খাবারের উপর থেকে সব রকম নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। পুজোর সময়ে বা বিজয়ার পর একেবারে নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া করেন। আবার, লক্ষ্মীপুজোর সময়ে নাড়ু না খেলেও চলে না টোটার। কর্মসূত্রে দেশ-বিদেশ যেখানেই যান না কেন, টোটার পছন্দ বাঙালি খাবার। বিশেষ করে মাছের পদ আর মিষ্টি। পুজোর সময়ে বেশি খেয়ে অনেকেই অপরাধবোধে ভোগেন। এ ক্ষেত্রেও টোটা ব্যতিক্রম। তিনি বলেন, “আমি বুঝে খাবার খাই। গলা পর্যন্ত খাবার খাওয়ার পরিণাম কী হতে পারে তা বুঝে খাবারের পরিমাণ ঠিক করাই বাঞ্ছনীয়। সঙ্গে যদি সকালে একটু লেবু-মধুর জল খাওয়া যায়, ভাল হয়।”

অভিনয়ের পাশাপাশি শরীরচর্চার জন্য আলাদা করে সুখ্যাতি আছে টোটার। তবে পুজোর জন্য আলাদা করে শরীরচর্চা করার হুজুগে গা ভাসাতে নারাজ তিনি। টোটা মনে করেন, শরীরচর্চা কখনওই কিছুর বিকল্প হতে পারে না। প্রতি দিনের স্বাভাবিক কাজকর্মের মতো শরীরচর্চাকে জীবনের অপরিহার্য অঙ্গ করে তুলতে হবে। টোটা বলেন, “পুজোর পর কাজে ফিরতে যদি কারও অনীহা বোধ না হয়, তা হলে শরীরচর্চার বেলাতেও তেমনটা হতে দেওয়া চলবে না। মাথায় রাখতে হবে, শরীর থাকলে তবেই কাজ থাকবে।”

ইদানীং ‘নো সুগার’ বা ‘নো সল্ট’ ডায়েট বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। অনেকের শরীরেই তার প্রভাব ইতিবাচক। তবে টোটার মত, পরিমিত পরিমাণে নুন বা চিনি খেলে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অতিরিক্ত হলে সমস্যা আছে। সে চিনিই হোক বা শরীরচর্চা। এ প্রসঙ্গে টোটা বলেন, “বিষ আমাদের বাতাসে। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্যে দিয়ে যে বিষ শরীরে প্রবেশ করছে তাকে ঠেকাবেন কী করে? প্রতি দিন তেল চপচপে খাবার খেয়ে সব দোষ নুন-চিনির ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া যায় না। ধূমপান, মদ্যপানও একই ভাবে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।”

আরও পড়ুন
Advertisement