দুধে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। ছবি: শাটারস্টক।
ত্বক ভাল রাখতে আপনি হাজার প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন, অথচ লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না! শীতকালে বাতাসের শুষ্কতায় ত্বকের একেবারে বেহাল দশা। সমাধান কিন্তু আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। ত্বকের নানা সমস্যায় ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা দুধের উপর। প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসাবে কাঁচা দুধের জুড়ি মেলা ভার।
কী উপকার মিলবে?
১) প্রাকৃতিক ক্লিনজ়ার হিসাবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। দুধে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। শীতের মরসুমে ত্বক নিস্তেজ দেখায়। এ ক্ষেত্রে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন। ত্বক সতেজ দেখাবে।
২) শীতকালে ত্বক রুক্ষ দেখায়। এ ক্ষেত্রে কাঁচা দুধ ভীষণ ভাল ময়েশ্চারাইজ়ার হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের জন্য হেঁশেলের এই উপাদানটি দারুণ উপকারী।
৩) দুধে ভাল মাত্রায় ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। যাঁরা ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরাও ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। সুফল পাবেন। ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও ল্যাকটিক অ্যাসিড দারুণ উপকারী।
৪) কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের মৃতকোষগুলি দূর করতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক কোমল দেখায়।
৫) নিয়ম করে কাঁচা দুধ মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। ফলে নতুন কোষ গঠিত হয়। তাই কাঁচা দুধ ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন কাঁচা দুধ?
১) ত্বকের বলিরেখা দূর করতে টক দই ও কাঁচা দুধ মুখে লাগাতে পারেন। ২০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা দুধ, বেসন, মধু আর এক একটু হলুদ মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। মিনিট ১৫ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) ট্যান পড়েছে? কাঁচা দুধের সঙ্গে টম্যাটোর রস মিশিয়ে নিয়মিত লাগান। ত্বকের কালচে দাগ দূর হবে।