শীতেও খেতে হবে শসা। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে ঘেমেনেয়ে জল খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। তাই রাস্তাঘাটে অনেককেই শসা খেতে দেখা যায়। কারণ শসায় জলের পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজে ভরপুর শসা ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু ঠান্ডা পড়লে আবার পুরো ছবিটাই পাল্টে যায়। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি, অনেকের মধ্যে জল খাওয়ার প্রবণতাও কমতে থাকে। ফলে ঠান্ডার সময়ে অনেককেই ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। যে হেতু শসায় জলের পরিমাণ বেশি, তাই অনেকেরই ধারণা, শসা খেলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এমন ধারণা ভিত্তিহীন।
১) শরীরে জলের জোগান দিতে
শীতের শুষ্ক আবহাওয়া শরীর থেকে জল শুষে নেয়। ত্বকের উপর তার প্রভাব পড়ে। আর্দ্রতার অভাবে চামড়া কুঁচকে যেতে পারে। শরীরে পর্যাপ্ত জলের জোগান দিতে অন্যান্য তরলের পাশাপাশি তাই শসা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদেরা।
২) ক্যালোরির পরিমাণ কম
যাঁরা ওজন ঝরাতে চান, সারা বছরই তাঁদের শসা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, শসায় ক্যালোরির পরিমাণ কম। ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্ত্র ভাল রাখার পাশাপাশি, বেশি খাবার খেয়ে ফেলার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে শসা।
৩) বিপাকহার বাড়িয়ে তোলে
শসায় রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ় এবং ভিটামিন কে। বিপাকহার বাড়িয়ে তুলতে এই দুটি উপাদান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিপাকহার ভাল না হলে কোনও ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।