হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল কোলেস্টেরল। ছবি: সংগৃহীত
অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল, এলডিএল— এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরল পরিবার। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরল বাড়লে তা রক্তপ্রবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। রক্তপ্রবাহকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ হল কোলেস্টেরল। হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। এখন বয়স বাড়লে নয়, কমবয়সিদের মধ্যেও বাসা বাঁধছে কোলেস্টেরেল। ফলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। কোলেস্টেরল বেশি কি না, ৩০ পেরোলেই তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। কোলেস্টেরল ধরা পড়লে সুস্থ থাকতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা জরুরি। নিয়মিত শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। অতি অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা জরুরি।