Weight Loss

ওজন ছিল ১৫৮ কেজি, বিছানা থেকে নামতে পারতেন না, কয়েক মাসে কী ভাবে হলেন ছিপছিপে?

শরীরের ভারে যখন চলাফেরা প্রায় বন্ধ, হুঁশ ফেরে বিশোই খেল্লা নামে ২৯ বছর বয়সি ওই যুবকের। তত দিনে তাঁর ওজন ১৫৮ কেজি। সেখান থেকে কী ভাবে রোগা হলেন?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৯:০৫
Symbolic Image.

স্বাদের যত্ন নিয়ে সতর্ক ছিলেন, শরীরের দিকে নজর ছিল না বললেই চলে। ছবি: সংগৃহীত।

খেতে ভালবাসতেন। বিশেষ করে বাজারের প্রক্রিয়াজাত খাবার। তেলমশলা, ভাজাভুজি, মুখরোচক খাবার পেলে সবচেয়ে খুশি হতেন। প্রায় প্রতি দিনই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করতেন। মদ্যপান এবং ঢালাও খাবারে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেন। স্বাদের যত্ন নিয়ে সতর্ক ছিলেন, শরীরের দিকে নজর ছিল না বললেই চলে। তাই ওজন বাড়তে বাড়তে হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। শরীরের ভারে যখন চলাফেরা প্রায় বন্ধ, হুঁশ ফেরে বিশোই খেল্লা নামে ২৯ বছর বয়সি ওই যুবকের। তত দিনে তাঁর ওজন ১৫৮ কেজি।

মেক্সিকোর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী ওই যুবক মনস্থির করেন ওজন তাঁকে কমাতেই হবে। নয়তো আর কিছু দিন পর তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে অনেক দূরে চলে যাবেন তিনি। শুরু হয় তাঁর রোগা হওয়ার লড়াই। প্রথমে উৎসব-উদ্‌যাপন থেকে সন্তর্পণে দূরে রাখেন নিজেকে।

Advertisement

কঠোর ডায়েট আর শরীরচর্চার রুটিন তৈরি করেন তিনি। প্রতি দিন ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করতেন। শরীরচর্চার আগে সকালে উঠে কয়েক কিলোমিটার দৌড়তেন। এমনকি তাপমাত্রা যখন মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তখনও শরীরচর্চা বন্ধ করতেন না তিনি। দীর্ঘ দু’বছর ধরে এই রুটিন মেনে চলেছেন। কঠিন সাধনার ফল অবশ্য পেয়েছেন বিশোই। ৭০ কেজি ওজন কমিয়েছেন তিনি। মেদ ঝরানোর পাশাপাশি, আত্মবিশ্বাসও ফিরে পেয়েছেন। বিশোই বলেন, ‘‘ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা কতটা জরুরি, তা এখন বুঝতে পারছি। ওজন বেশি ছিল যখন, নানা রকম সমস্যা হত আমার। কিন্তু খাবারের প্রতি প্রেমে আমি অন্ধ ছিলাম। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি ছিপছিপে রোগা না হলেও বেশি ওজন বাড়তে না দেওয়াই শ্রেয়।’’

আরও পড়ুন
Advertisement