মডেল-অভিনেতা মিলিন্দ সোমন। ছবি: সংগৃহীত।
ফিটনেস আর মিলিন্দ সোমন যেন সমার্থক!
ষাট ছুঁইছুঁই বয়সেও তাঁর সুঠাম, মেদহীন, পেশিবহুল চেহারা সকলের চোখেই ঈর্ষণীয়। মহিলাদের তো বটেই, পুরুষদের কাছেও মিলিন্দ অনুপ্রেরণা। তবে তার জন্য অভিনেতাকে যে নিয়মিত জিমে গিয়ে কসরত করতে হয়, তা নয়। ঘুরতে গিয়ে, ট্রেকিংয়ের ফাঁকে অবলীলায় শরীরচর্চা করে ফেলতে পারেন তিনি। কারণ, মিলিন্দ মনে করেন, শরীরচর্চার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।
কখনও মরুভূমিতে বালির উপর, কখনও অঝোর বৃষ্টিতে, আবার কখনও শ্বেতশুভ্র বরফের মাঝে নানা রকম কসরত করার ভিডিয়ো পোস্ট করেন অভিনেতা। নিজের চেনা বৃত্তের বাইরে গিয়ে একের পর এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেন নিজেকে। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন মিলিন্দ।
ইংল্যান্ডের তৃতীয় উচ্চতম শিখর স্ক্যাফেল পাইক ট্রেক করতে গিয়েছিলেন সোনম। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অঙ্কিতা কোনর এবং সতীর্থেরা। অভিনেতা জানিয়েছেন, যদিও এই পর্বত খুব খাড়াই নয়, কিন্তু কনকনে ঠান্ডা এবং ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে কিছু শোনা দায়।
সেই পর্বত ঘুরেফিরে আসার সময়ে মাঝপথেই মিলিন্দ কয়েক মিনিট বিরতি নিয়েছিলেন। তারই এক ফাঁকে বেশ কয়েকটি ‘ক্ল্যাপ পুশ-আপ’ দিয়ে চাঙ্গা করে নিয়েছিলেন শরীর। তবে সাধারণ পুশ-আপের চেয়ে মিলিন্দের দেখানো ক্ল্যাপ পুশ-আপ একটু আলাদা। কেমন সেই ব্যায়াম? কী উপকার হয় তাতে?
ক্ল্যাপ পুশ আপ করলে কী উপকার হয়?
১) যে হেতু সাধারণ পুশ-আপের চেয়ে ক্ল্যাপ পুশ-আপ দ্রুত গতিতে অভ্যাস করতে হয়, তাই হার্ট রেট বাড়িয়ে তুলতে তা বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। বিশেষ করে ঠান্ডার সময়ে শরীর সচল রাখতে এই ব্যায়ামটি বেশ কাজের।
২) পুশ-আপের সঙ্গে হাততালি দেওয়ার সময়ে প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সমন্বয় ঘটে, যা শরীরের ভারসাম্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩) সাধারণ পুশ-আপের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ শক্তি প্রয়োজন হয় ক্ল্যাপ পুশ-আপ করতে। যার ফলে সহজেই অনেকটা পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ানো যায়। এতে বিপাকহার বাড়িয়ে তোলাও সহজ হয়।