নারকেলে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, যা হাড় ভাল রাখতে সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত।
বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হবে আর নারকেল আসবে না, তা কী করে হয়! নারকেল নাড়ু থেকে শুরু করে পুজোর ভোগের বিভিন্ন পদে নারকেল দেওয়ার চল রয়েছে। অনেকেরই নারকেল খেলে পেটের সমস্যা হয়। আবার নারকেলে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি বলে অনেকেই তা খেতে চান না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নারকেলের পুষ্টিগুণ কম নয়। তবে নারকেল খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে।
ভিটামিনে ঠাসা
জল হোক বা শাঁস, নারকেল মানেই প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন আর খনিজ লবণের ভান্ডার। মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন বি প্রয়োজন। নারকেল থেকে ভিটামিন বি-৫ আর বি-৬ পাওয়া যায়।
বিস্মৃতি রুখতে
ডাবের জলে থাকে ‘এমসিটি’ অর্থাৎ, ‘মিডিয়াম চেন ট্রাইগ্লিসারাইডস’। এমসিটি মস্তিষ্ককে ক্ষুরধার করে, স্মৃতিশক্তি জোরদার করে। কেউ কেউ এই কারণে অ্যালঝাইমার্সের রোগীদের ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন।
খনিজ পদার্থে ভরপুর
নারকেলে থাকে ম্যাঙ্গানিজ, যা হাড় ভাল রাখতে সহায়তা করে। পাশাপাশি, নারকেলে থাকা অন্য একটি উপাদান হল সেলেনিয়াম। এটি এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা কোষে দূষিত পদার্থকে জমতে বাধা দেয়। মনে করে দেখুন, কোভিডের সময় চিকিৎসকদের মুখে এই ম্যাঙ্গানিজ এবং সেলেনিয়ামের কথা বার বার শোনা গিয়েছিল। এ ছাড়াও নারকেলে প্রচুর পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার থাকে। তবে যাঁদের রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, তাঁদের নারকেলের শাঁস কিংবা জল খাওয়ার আগে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিগড়ে গেলে বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।