ওজন বৃদ্ধি করতে রকমারি পদে খান আমন্ড। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন ঝরাতে যতটা সাধ্যসাধনার দরকার, ওজন বাড়াতেও চেষ্টা তার চেয়ে কম কিছু নয়! কেউ বলেন, জল খেয়েও মোটা হয়ে যাচ্ছেন। আর যাঁরা স্বাস্থ্য ভাল করতে চান তাঁদের আক্ষেপ, এত খেয়েও তো কিছু হচ্ছে না!
ওজন বৃদ্ধির জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যেমন জরুরি, তেমনই দেখা দরকার, কোনও শারীরিক সমস্যার জন্য আপনি রোগা নন তো! যেমন থাইরয়েডের সমস্যা। কারও হাইপারথাইরয়েডিজ়ম হলে তিনি রোগা হয়ে যেতে পারেন। এ ছাড়া অন্য আরও কারণ থাকতে পারে। তবে কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে, ওজন বৃদ্ধির জন্য আমন্ড কিন্তু হয়ে উঠতে পারে বিশেষ ভাবে কার্যকর। জেনে নিন আমন্ডের গুণ ও আমন্ড খাওয়ার নানা উপায়।
গুণ
আমন্ড এক ধরনের বাদাম। এতে আছে ‘গুড ফ্যাট’, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল। আমন্ড প্রোটিন ও ফ্যাটি অ্যাসিডে পরিপূর্ণ। এ ছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার ও প্রয়োজনীয় সমস্ত খনিজ উপাদান। প্রতি দিনের ডায়েটে আমন্ড রাখলে শরীর-স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। তবে শুধু সকালে উঠে ভেজানো বাদাম না খেয়ে, ওজন বৃদ্ধির জন্য রকমারি পদে আমন্ড খাওয়া যায়।
আমন্ড দিয়ে রকমারি পদ
হালুয়া
আমন্ড গরম জলে বেশ কিছু ক্ষণ ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিতে হবে। কড়াইতে ঘি দিয়ে বেটে নেওয়া বাদাম ক্রমাগত হালকা আঁচে নাড়তে হবে। ঘন হয়ে এলে তাতে দিতে হবে স্বাদ মতো চিনি। উপরে ছড়িয়ে দেওয়া যেতে পারে পেস্তা ও কাজুর টুকরোও। প্রোটিনে ভরপুর এই পদ ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করার পাশাপাশি শরীর ভাল রাখে।
পায়েস
দুধ সুষম খাবার। শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। আমন্ড কুচি করে অথবা গরম জলে ভিজিয়ে খোসা ছাড়িয়ে বেটে ঘন দুধে দিয়ে ক্রমাগত জ্বাল দিতে হবে। ঘন হয়ে এলে চিনির বদলে গুড় বা চিনি মিশিয়ে দিতে হবে। তা হলেই তৈরি হয়ে যাবে সুস্বাদু আমন্ড পায়েস।
রোস্টেড আমন্ড
সামান্য ঘি-তে আমন্ড রোস্ট করে নিতে পারেন। তাতে ছড়িয়ে দিতে হবে স্বাদ মতো নুন। খুব সহজ ও মুচমুচে এই স্ন্যাক্স ওজন বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।