কুমড়ো বীজের পুষ্টিগুণ কম নয়। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিগুণের বিচারে অন্যান্য সব্জির চেয়ে কোনও অংশে পিছিয়ে নেই কুমড়ো। ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য থেকে হজমশক্তি বৃদ্ধি করা, একাধিক উপকারিতা রয়েছে কুমড়োর। অথচ এই সব্জিটি কিন্তু অনেকেরই অপছন্দের। তবে স্বাস্থ্য সচেতনদের মধ্যে ইদানীং কুমড়োর বীজের কদর বেড়েছে। ডায়েটে নানা ধরনের খাবারের মধ্যে এই বীজেরও দেখা মেলে। জেনে নিন কুমড়োর বীজ খেলে কী কী উপকার হবে শরীরের।
১) প্রস্টেট সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ করে:
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে পুরুষদের প্রস্টেট গ্রন্থিটিও আকারে বাড়তে থাকে। এই ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে জ়িঙ্কের ভূমিকা রয়েছে। এই খনিজটি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে কুমড়ো বীজে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত কুমড়ো বীজ খেলে পুরুষ হরমোনের সমতা বজায় থাকে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে এই বীজটি।
২) অনিদ্রার সমস্যা দূর করে:
ঘুমের চক্র নিয়ন্ত্রণ করে ‘সেরোটোনিন’ এবং ‘মেলাটোনিন’ নামক দু’টি হরমোন। এই হরমোনগুলির হেরফের হলেই ঘুমের স্বাভাবিক চক্রটি নষ্ট হয়। কুমড়োর বীজে রয়েছে ‘ট্রিপটোফ্যান’ নামক একটি উপাদান। যেটি আসলে এক প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই উপাদানটি আবার ‘সেরোটোনিন’ এবং ‘মেলাটোনিন’ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৩) ত্বকের জন্য ভাল:
ভিটামিন ই-এর মতো অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ কুমড়ো বীজ। যেটি শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতাও বজায় রাখে। ফলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে পারে না। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য এইটি কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতেও সাহায্য করে। চামড়া ঝুলে যাওয়া কিংবা বলিরেখা পড়ার সমস্যাও রুখে দেওয়া যায়।
৪) হার্টের জন্য ভাল:
হার্ট ভাল রাখতে ম্যাগনেশিয়াম নামক খনিজটির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ম্যাগনেশিয়ামের উৎস হল কুমড়ো বীজ। রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে, রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল বা ‘এলডিএল’-এর মাত্রায় রাশ টানতেও সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম। এ ছাড়া প্রদাহজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ম্যাগনেশিয়াম প্রয়োজন হয়।
৫) হজমে সহায়ক:
কুমড়ো বীজে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি অন্ত্রের দেখাশোনা করে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় করে। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে। শুধু তাই নয়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। বিপাকহার ভাল রাখতেও ফাইবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।