এসেনশিয়াল অয়েলের গন্ধ মশার নাকে প্রবেশ করতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
মশাবাহিত রোগ ঠেকিয়ে রাখতে যতই মশারি টাঙানোর পরামর্শ দেওয়া হোক, কেমন যেন দমবন্ধ লাগে। ফলে মশাদের আনন্দ ধরে না। মশা তাড়ানোর তেল, ধূপ, স্প্রে শরীরের জন্য ভাল নয়। তাই অনাবৃত অংশে অনেকেই ‘মসকিউটো রেপেলেন্ট ক্রিম’ মাখেন। তাতেও যে খুব একটা সুবিধা হয়, তা-ও নয়। এই ধরনের ক্রিমে নানা রকম রাসায়নিক থাকে। ত্বকের জন্য সেগুলি ভাল নয়। তবে এসেনশিয়াল অয়েল সে দিক থেকে নিরাপদ। কিন্তু এই অয়েলগুলি মশা তাড়াতে পারে কি?
অ্যারোমা থেরাপিস্ট ব্লসম কোচার বলেন, “এসেনশিয়াল অয়েলের মধ্যে এমন অনেক সক্রিয় উপাদান রয়েছে, যেগুলি ত্বকের নানা সমস্যার সুরাহা করে। এ ছাড়া এই ধরনের অয়েলের সুন্দর গন্ধও হয়। যার গুণে মশারা গায়ের কাছে ঘেঁষতে পারে না। রাসায়নিক দেওয়া ক্রিম, মশা তাড়ানোর ধূপের তুলনায় এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি ত্বক এবং শরীরের পক্ষেও নিরাপদ।” তিনি বলেন, “মশার উপদ্রব কমাতে সিট্রোনেলা অয়েল সবচেয়ে বেশি কাজ করে। এ তথ্য বিভিন্ন গবেষণায়ও দেখা গিয়েছে। এই অয়েল জীবাণুনাশক হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।”
তবে কোনও ধরনের এসেনশিয়াল অয়েলই সরাসরি ত্বকে মাখা যায় না। যে হেতু এই ধরনের অয়েলে সক্রিয় উপাদান বেশি, তাই এগুলি থেকে ত্বকে নানা ধরনের অস্বস্তি হতে পারে। দিল্লির এক বেসরকারি হাসাপাতালের চর্মরোগ চিকিৎসক বিজয় সিংহল বলেন, “সিট্রোনেলা এসেনশিয়াল অয়েল ছাড়া মশা তাড়াতে ইউক্যালিপ্টাস, লেমনগ্রাস, টি ট্রি, ল্যাভেন্ডার, পেপারমিন্টের মতো অয়েলও ব্যবহার করা যায়। এগুলি ত্বকের কোনও ক্ষতি করে না। তবে এই ধরনের অয়েল সব সময়ে অল্প পরিমাণে এবং কোনও কিছুর সঙ্গে মিশিয়ে তবেই ব্যবহার করা উচিত।”