Glossitis Symptoms

গরমাগরম চা না হলে খেতে পারেন না? গরম খাবার থেকে সাবধান, হতে পারে গ্লসাইটিস

গ্লসাইটিস হলে ঝাল, নোনতা, গরম খাবার খেলেই মুখ জ্বলে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঢোক গিলতে গেলেও কষ্ট হয়, স্বাদ পাওয়া যায় না খাবারের। কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২৩ ১২:৫০
গরম চা খাওয়া কেন ক্ষতিকর?

গরম চা খাওয়া কেন ক্ষতিকর? ছবি: শাটারস্টক।

খাবার চিবিয়ে খেতে বা খাবার গিলতে যেন প্রাণ বেরিয়ে যাচ্ছে! এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মাঝেমধ্যেই। এর কারণ হতে পারে গ্লসাইটিস! মুখের ভিতরে লালার মধ্যে লাইসোজাইম নামক উৎসেচক থাকে, যা সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে, যা আদতে ব্যাক্টেরিয়ানাশক। বেশ কিছু রাসায়নিক পদার্থের জন্য, ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাক আক্রমণের কারণে বা কিছু ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের অভাবে এই উৎসেচকের কার্যকারিতা কমে যায়, তখন গ্লসাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

গ্লসাইটিস হলে ঝাল, নোনতা, গরম খাবার খেলেই মুখ জ্বলে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঢোক গিলতে গেলেও কষ্ট হয়, স্বাদ পাওয়া যায় না খাবারের। এই রোগে জিভের রং লাল হয়ে যায়। কখনও জিভ ফুলে গিয়ে ব্যথা হতে পারে। জিভের উপরে র‌্যাশ বেরোতেও দেখা যায়।

Advertisement

কেন হয় এই সমস্যা?

অনেকের অভ্যাস আছে, কাপে গরম চা আসা মাত্রই এক চুমুকে পুরোটা শেষ। অনেকেই গরমাগরম খাবার খেতে ভালবাসেন। অনেকে আবার খেতে বসলেই পাঁচ-ছ’টা কাঁচালঙ্কা চিবিয়ে খান— এই সব অভ্যাসের কারণে জিভের স্নায়ুগুলি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে যেতে শুরু করে। তখন তাঁদের খুব গরম বা খুব ঝালের অনুভূতি থাকে না। বার বার অতিরিক্ত গরম ও ঝালের দাপটেও গ্লসাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আর কী কী কারণে এই রোগ বাসা বাঁধে?

১) দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগলে

২) শরীরে ভিটামিন বি-র অভাব হলে

৩) কোনও জটিল রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় ধরে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে

দাঁত পরিষ্কারের জন্য বহু দিনের পুরনো ব্রাশ ব্যবহার না করাই ভাল।

দাঁত পরিষ্কারের জন্য বহু দিনের পুরনো ব্রাশ ব্যবহার না করাই ভাল। ছবি: সংগৃহীত।

৪) শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে গেলে

৫) সুপারি-জর্দা দিয়ে নিয়মিত পান খাওয়ার অভ্যেস, গুটখা, সিগারেট, বিড়ি ইত্যাদির নেশা থাকলে

৬) বয়স্ক মানুষদের দাঁত ভেঙে বা ক্ষয়ে গিয়ে ধারালো হয়ে যায়। তখন খেতে বা কথা বলতে গিয়ে ধারালো দাঁতে বার বার জিভের আঘাত লাগে, যা জিভে ক্ষত তৈরি করে। এ ছাড়া বাঁধানো দাঁত ঠিক মতো সেট না হলে খোলা-পরার সময়ে বার বার ঘষা লেগে ক্ষত তৈরি হতে পারে। নিয়মিত ব্রেস ব্যবহার করলেও এই সমস্যা দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে।

এই সমস্যা এড়াতে মুখের ভিতর পরিষ্কার করার সময় সতর্ক থাকতে হবে। তাড়াহুড়ো করলে হবে না। আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে সাধারণত ব্রাশ করি। তবে চা কিংবা কোনও খাবার খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে মুখ ধোয়ার অভ্যাস অনেকেরই নেই। দাঁত পরিষ্কারের জন্য বহু দিনের পুরনো ব্রাশ ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ ব্রাশের ব্রিসলগুলি শক্ত হয়ে গেলে তার খোঁচায় মুখের ভিতর ঘা হয়, যা থেকে পরবর্তী কালে জিভ আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গ্লসাইটিসের লক্ষণগুলি দেখা মাত্রই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, ভুলেও ফেলে রাখবেন না।

আরও পড়ুন
Advertisement