দীর্ঘ দিন ধরে সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া-সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। ছবি: শাটারস্টক।
পুজোর পর থেকেই আবহাওয়ায় বেশ শীতের আমেজ। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বকেও জলের অভাব অনুভূত হচ্ছে। শুষ্ক আবহাওয়ায় বাতাসে মিশে থাকা ক্ষতিকর কণাগুলি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করে। চিকিৎসকদের মতে, শুধু শুকনো কাশি নয়, শ্বাসনালির উপরে এবং নীচের ট্র্যাকে সংক্রমণের জন্যও দায়ী এই দূষিত বায়ু। দীর্ঘ দিন ধরে সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া-সহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
আর এই ধরনের সমস্যার উৎস যেখানে, শরীরের সেই ফুসফুস নামক অঙ্গটি কিন্তু আদরযত্ন না পেলে বিগড়ে বসতে বাধ্য। এর জন্য দরকার নিয়মিত পতে রাখতে হবে সুষম খাদ্য। সকল চিকিৎসকই এই প্রসঙ্গে একমত যে ফুসফুস চাঙ্গা রাখতে ধূমপান ত্যাগ করাই প্রাথমিক শর্ত। কিন্তু তা ছাড়াও এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য থাকে তরতাজা। ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে কোন খাবার পাতে রাখবেন?
ব্রকোলি: ব্রোকলি এবং অন্যান্য ক্রুসিফেরাস সব্জি যেমন ফুলকপি, বক চয় এবং বাঁধাকপিতে সালফোরাফেন নামক একটি পদার্থ রয়েছে, যা শরীর থেকে বেনজিন নামক ক্ষতিকর পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, এই সব সব্জিতে ভিটামিন সি এবং বিটা ক্যারোটিন ভরপুর মাত্রায় থাকে, যা ফুসফুসের কার্যকারিতা বাড়ায়। শরীরে রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।
তিসি বীজ: এই বীজে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন যৌগগুলির পাশাপাশি ওমেগা-৩ বেশি মাত্রায় থাকে। বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই দুই যৌগ হাঁপানি রোগীদের অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে এবং প্রতি দিন দুই টেবিল চামচ তিসি জলে ভিজিয়ে খেতে পারেন।
লাল রঙের ফল এবং সব্জি: বিশেষজ্ঞদের মতে লাল ক্যাপসিকাম, টম্যাটোর মতো সব্জি ও ফলে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ফুসফুসের পক্ষে উপকারী। শ্বাসনালির প্রদাহ কমাতে টম্যাটোর রস বেশ কার্যকরী। তা ছাড়া, লাল রঙের ফল ও শাকসব্জি সেই সব রোগীর জন্যও বিশেষ দরকারি, যাঁরা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের সমস্যায় জর্জরিত।
হলুদ: ফুসফুসকে চাঙ্গা করতে হলুদও বেশ উপকারী। এর অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটরি গুণাগুণ ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। তাই শীতের সময় ডায়েটে দুধ-হলুদ রাখতেই হবে।