Artificial Intelligence on Cancer Screening

ক্যানসার নির্ণয়ে রেডিয়োলজিস্টের কাজ প্রায় অর্ধেক করে ফেলতে পারে ‘এআই’, জানাচ্ছে গবেষণা

যে কোনও রোগ সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে নির্ণয় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানসারের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে তা সারিয়ে তোলা অনেকটাই সহজ হয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৩ ১৮:৪৮
Image of AI

— প্রতীকী চিত্র।

প্রায় সব ক্ষেত্রেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ‘এআই’ কর্মদক্ষতা ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলে দিয়েছে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে নির্ভুল তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার একেবারেই নিরাপদ। শুধু তাই নয়, এই ‘এআই’ এত দ্রুত গতিতে কাজ করে যে তা দু’জন মানুষের কাজ কমিয়ে একেবারে অর্ধেক করে ফেলতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ২৩ লক্ষ মহিলার শরীরে এই রোগের সন্ধান পাওয়া যায়। যে কোনও রোগ সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রে নির্ণয় ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যানসারের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে এই রোগ ধরা পড়লে তা সারিয়ে তোলা অনেকটাই সহজ হয়।

Advertisement

চিকিৎসকেরা বলছেন, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রেও যদি সঠিক সময়ে রোগ ধরা পড়ে তা হলে মৃত্যুর হারও অনেকটাই কমে আসে। এ ক্ষেত্রে এআই ব্যবহারের সুবিধা হল তাড়াতাড়ি, নির্ভুল রিপোর্ট প্রদান করা। গবেষণার প্রাথমিক পর্যায়ে অন্তত সে কথাই বলা হয়েছে। ‘ল্যানসেট অঙ্কোলজি জার্নাল’-এ প্রকাশিত তথ্য বলছে, ইতিমধ্যে ৮০ হাজারেরও বেশি মহিলার উপর এআই দিয়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আগে স্তন ক্যানসার হয়েছে কি না, তা বোঝার জন্য ম্যামোগ্রাম নামক বিশেষ একটি পরীক্ষা করতে হত। তার পর রেডিয়োলজিস্ট দেখে তাঁর মতামত জানাতেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেই একই ফলাফল জানাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সময় লাগবে কম।

কেউ স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, তা জানতে রেডিয়োলজিস্টের জন্য অপেক্ষাও করতে হবে না। গবেষকেরা বলছেন, স্তন ক্যানসার নির্ণয়ে আগে বহু ক্ষেত্রেই ভুল রিপোর্ট আসত। যার ফলে চিকিৎসায় জটিলতা বাড়ত। এআই-এর ব্যবহার এই সম্ভাবনা একেবারেই কমিয়ে ফেলতে পারে। সুইডেনের লান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ক্রিশ্চিনা লাঙ্গ বলেন, “স্তন ক্যানসার পরীক্ষার পর রিপোর্ট হাতে পেতে অনেকটাই সময় লেগে যায়। দক্ষ রেডিয়োলজিস্টের অভাবে বহু দেশই এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। তার পরেও রিপোর্ট নির্ধারণে ভুল থেকে যাচ্ছে। অথচ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রায় সব ক্ষেত্রেই নিজের কর্মদক্ষতার প্রমাণ দিতে পেরেছে। তবু এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে এবং রোগীর উপর তার ফলাফল কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা দেখার জন্যে আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।”

আরও পড়ুন
Advertisement