কফির ভালমন্দ নিয়ে সম্প্রতি নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
ঘুম চোখ খুলে কফির গন্ধ না পেলে দিনটাই বৃথা!
মুখ ধোয়ার পর ধোঁয়া ওঠা গরম কফির কাপে চুমুক দিলে মনটা একেবারে তরতাজা হয়ে ওঠে। দুধ, চিনি দেওয়া কফি খেলে শরীরের ক্ষতি পারে। তাই অনেকে কালো কফির কাপে চুমুক দেন। কিন্তু খালি পেটে কালো কফি খাওয়াও কি ভাল?
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট চ্যানেলে অতিথি হিসাবে এসেছিলেন অভিনেতা বরুণ ধাওয়ান। সেখানেই খালি পেটে কফি খাওয়ার নানা ক্ষতিকর দিক নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। এমনকি কালো কফিও যে অন্ত্রের জন্য খারাপ, সে বিষয়েও সকলকে সতর্ক করেছেন অভিনেতা। বরুণ বলেন, “শুধু অন্ত্র নয়, খালি পেটে কফি খেলে প্রদাহজনিত সমস্যাও বৃদ্ধি পেতে পারে। তার চেয়ে বরং সকালে হালকা একটু খাবার খেয়ে কফি খাওয়া যেতে পারে।”
এ প্রসঙ্গে পুষ্টিবিদ অক্ষতা চাভন বলেন, “কালো কফি যদি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হয়, সে ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কফিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মাত্রা বেশি। ম্যাগনেশিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে এই পানীয়ে। এ ছাড়া কফির মূল উপাদান হল ক্যাফিন। যা শক্তি বৃদ্ধি করতে উদ্দীপকের মতো কাজ করে।”
কালো কফি ক্ষতিকর?
যাঁরা স্বাস্থ্যসচেতন, খাবারের ক্যালোরি নিয়ে তাঁদের চিন্তা থাকে। তবে পুষ্টিবিদ বলছেন, কালো কফিতে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। চিনি খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে আরও ভাল। কিন্তু ‘লো ক্যালোরি’ বলে ঘন ঘন কফি খাওয়ার প্রবণতায় আবার উল্টো বিপত্তি হয়। অনিদ্রা, উদ্বেগ, হৃৎস্পন্দন বেড়ে যেতে পারে। সকালে খালি পেটে কালো কফি খেলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
দিনে কতটুকু কফি খেলে শরীরের ক্ষতি হবে না?
কফিপ্রেমীদের এই পানীয় খেতে নিষেধ করা যায় না। তাই পুষ্টিবিদেরা হামেশাই কালো কফি খাওয়ার কথা বলে থাকেন। দুধ, চিনি ছাড়া কালো কফি খেলে ততটা ক্ষতি হয় না, যতটা ঘন ক্রিম-যুক্ত কফি খেলে হয়। অক্ষতা বলছেন, “দিনে ১ থেকে ৩ কাপ কালো কফি খাওয়াই যায়। তবে সকলের জন্য এই নিয়ম খাটে না। সকলের শরীরের জন্য ক্যাফিন উপযুক্ত নয়। তাই কফি খাওয়ার পর শরীরের কী প্রতিক্রিয়া হচ্ছে, সে দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।”