উৎসবের মরসুমে জল ছাড়া আর অন্য সব পানীয়ের প্রতি ভালবাসা বে়ড়ে যায়। প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে অনিয়ম অন্যতম সঙ্গী। সারা বছর যে ছকে চলা হয়, নানা রকম উৎসবের ভিড়ে না চাইতেও সেই ছক ভাঙতেই হয়। রোজের রুটিন উৎসবের দিনে আর খাটে না। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে রাত জাগা— সবই চলে। এ সময় জল খাওয়ার পরিমাণ একেবারে কমে যায়। পাশাপাশি জল ছাড়া আর অন্য সব পানীয়ের প্রতি ভালবাসা বে়ড়ে যায়। উৎসব-উদ্যাপনে মদ্যপানও চলে দেদার। সেই সঙ্গে নানা ধরনের নরম পানীয়ের গ্লাসে চুমুক দেওয়া তো আছেই। জল খাচ্ছেন মনে করে অনেকেই আসলে ক্ষতি করছেন শরীরেরই। এর ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। শরীরে জলের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। জলের অভাবে নানা ধরনের রোগের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। উৎসবের আনন্দ কেন শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে?
হজমের গোলমাল, ওজন বেড়ে যাওয়া, পেটের সমস্যা— জলের অভাবে এমন সব সমস্যা দেখা দেয়। সুস্থ থাকার অন্যতম ওষুধ তো জল-ই। উৎসবের আবহে তাই জল খাওয়ার কথা ভুললে চলবে না। চিকিৎসকদের মতে, সকালে খালি পেটে অন্তত ৫০০ গ্রাম জল খাওয়াটা জরুরি। শরীরের যত্ন নিতে এটুকু তো করা যেতেই পারে। শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে একমাত্র পন্থা কিন্তু জল নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, জলের বিকল্প হিসাবে ভরসা রাখা যেতে পারে আরও কয়েকটি জিনিসে। যেগুলি জলের শূন্যস্থান কিছুটা হলেও পূরণ করতে পারে। রইল তেমন কয়েকটি পানীয়ের হদিস।
১) সকালে উঠে ঈষদুষ্ণ জলের সঙ্গে অল্প লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এই পানীয় শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। সত্যিই খুব কার্যকর এই পানীয়।
২) ধনেপাতা পছন্দ করেন? তাহলে ধনেপাতার রস অনায়াসে খেতে পারেন। ধনেপাতায় জলের পরিমাণ বেশি। তাই ধনেপাতার রস আপনার শরীরের জলের ঘাটতি পূরণ করবে।
৩) ফিটনেস সচেতন এমন অনেকেই সকালে এক গ্লাস ডাবের জল খান। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। খালি পেটে ডাবের জল খাওয়ার মতো উপকারিতা খুব কম জিনিসেই রয়েছে।
৪)অ্যাপেল সিডার ভিনিগার— রোজের রুটিনে অবশ্যই রাখতে পারেন। চটজলদি ওজন ঝরানো থেকে শুরু করে ত্বকের যত্ন সবেতেই সিদ্ধহস্ত ভিনিগার। তাই উৎসবের অনিয়মে সুস্থ থাকতে ভিনিগার খেতে পারেন।
৫) জোয়ান ভেজানো জল কিন্তু দারুণ উপকারী। চোখ বন্ধ করে জলের বিকল্প হতে পারে এই পানীয়। শুধু জলের ঘাটতি পূরণই নয়, পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও জোয়ানের জল খেতেই পারেন।