ছবি : সংগৃহীত।
শীতকাল মানেই মাত্রাছাড়া খাওয়াদাওয়া। তার কারণ শীতকালে খাবার জিনিসও বেশি। সেই সমস্ত খাবার জিনিস আবার মরসুমিও। শীতকাল চলে গেলে আর পাওয়া যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই অল্প সময়ের জন্য হাতের কাছে পাওয়া খাবারদাবার খাওয়ার সুযোগ ছাড়তে চায় না মন। ফলে বাড়তে থাকে ক্যালোরি। টনক নড়ে কোনও একদিন প্যান্টের বোতাম আটকাতে অসুবিধা হলে কিংবা চেনা জামা গায়ে আঁটেসাঁট হলে। তখনই আসে সেই উপলব্ধি— ওজনটা কমাতে হবে। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে হবে। কিন্তু কোন খাবারে লাগাম টানবেন, কোনটিতে টানবেন না, তা জানবেন কী ভাবে? এক পুষ্টিবিদ জানাচ্ছেন, দৈনন্দিন খাবারে কিছু প্রদাহরোধক খাবার রাখলে এবং তার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখলে ১০ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব।
পুষ্টিবিদ মুন্তাহা জাহরা সমাজমাধ্যমে প্রায়ই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখার ব্যাপারে নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তেমনই একটি ভিডিয়োয় তিনি জানিয়েছেন, কোন কোন প্রদাহরোধক খাবার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখা ভাল।
১। ফলমূল: অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিনে ভরপুর ফল, যেমন কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পেয়ারা, আপেল, আনারস, ড্রাগনফ্রুট, পেঁপে, তরমুজ খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলি আমাদের প্রদাহ কমিয়ে শরীরকে ফ্রি-র্যাডিকালসের হাত থেকেও মুক্ত করতে পারে।
২। শাকসব্জি: পালংশাক, ব্রকোলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট, কালে শাক, গাজরের মতো সব্জিতে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান। এগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৩। স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ: অলিভ অয়েল, অ্যাভোকাডো, তৈলাক্ত মাছ, তিসির বীজ, চিয়ার বীজ, আখরোট-আমন্ড জাতীয় বাদাম, প্রক্রিয়াজাত নয় এমন চিজ় এবং ভাল মানের ডার্ক চকোলেটে (অন্তত ৭০ শতাংশ কোকো রয়েছে এমন) আছে স্বাস্থ্যকর স্নেহ পদার্থ।
৪। মশলা: পুষ্টিবিদ মুন্তাহা জানাচ্ছেন, হলুদ, আদা, রসুনে রয়েছে প্রাকৃতিক প্রদাহরোধক উপাদান। ওই উপাদান প্রদাহ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
৫। দানাশস্য: ব্রাউন রাইস, কিনোয়া, ওট্সে রয়েছে প্রচুর ফাইবার, যা হজমশক্তিকে ভাল রাখে। পাশাপাশি, প্রদাহ রোধ করে নাছোড় অসুখের বাড়বাড়ন্তকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৬। পানীয়: যে কোনও ধরনের ভেষজ চা বা গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহ রোধ করে সার্বিক স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
৭। প্রোবায়োটিক বা জারিত থাবার: দই, কিমচি স্যালাড, ভাতের মাড় থেকে তৈরি কাঞ্জি, কম্বুচা, ধোকলা, জারিত দুধ থেকে তৈরি ক্যাফির, মাখন তোলা দুধের মতো খাবারও প্রদাহ রোধে সাহায্য করে।