Tips For Mental Health

পারিপার্শ্বিক চাপে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত? ৫ উপায়ে নিজেকে চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে পারেন

দৈনন্দিন কাজ, পরিস্থিতিতে অনেক সময়ে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। কিছুই ভাল লাগে না। কোন কৌশলে নিজেকে ঠিক রাখা যেতে পারে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৪ ১১:৪৬
মানসিক ভাবে ভাল থাকতে গেলে কী কী করা প্রয়োজন?

মানসিক ভাবে ভাল থাকতে গেলে কী কী করা প্রয়োজন? ছবি: সংগৃহীত।

কাজের চাপ, চেনা পরিচিত মানুষের ব্যবহার, ব্যক্তিগত সমস্যা, সম্পর্কের টানাপড়েন, ভুল বোঝাবুঝি, দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক বিষয়ই জুড়ে যায়। তার জেরে কখনও কখনও শুধু ক্লান্ত নয়, মানসিক ভাবেও বিধ্বস্ত মনে হয়। কোনও কিছুই ভাল লাগে না। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন কমবেশি সকলেই হন। এমনটা হলে, নিজেকে ভাল রাখার দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। কী ভাবে ভাল থাকবেন?

Advertisement

১. প্রথমেই জানা প্রয়োজন কারণটা কী? অফিসের সমস্যা না ব্যক্তিগত!সেই সমস্যার সমাধান কী ভাবে সম্ভব, ভাবতে হবে। অনেক সময় এমন অনেক কিছু থাকে যার চটজলদি সমাধান হয়তো নেই। সে ক্ষেত্রে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায় কি না, ভাবা দরকার। পরিস্থিতির মধ্যে থেকেই মন ভাল করার উপায় খুঁজলে কিছুটা হলেও ভাল থাকা যেতে পারে।

২. কারও কারও জীবনে অতিরিক্ত ভাবনা, অন্যের কথা গায়ে মাখাও এই ধরনের সমস্যার কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেশি ভাবনাচিন্তা এড়ানোর ভাল উপায় পছন্দের কাজে ব্যস্ত থাকা। পছন্দের কোনও রান্না করা, গান শোনা, বই দেখা এমন অনেকে কিছুতে নিজেকে যুক্ত রাখলে খারাপ ভাবনাগুলি মাথাচাড়া দিতে পারবে না। আর যদি কারও কথায় খারাপ লাগে, সেটা প্রাথমিক ভাবে পাত্তা না দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। অন্যের কথা গায়ে না মাখাটাও অভ্যাসে পরিণত করা যায়।

৩. মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত মনে হলে কাজ থেকে ছুটি নেওয়া যায় কি না, দেখতে পারেন। কয়েকটা দিন বাইরে ঘুরে এলেও চাপ, ক্লান্তি, মন খারাপের সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। বাড়তি ছুটি নেওয়া সম্ভব না হলে, ছুটির দিনটা সঠিক ভাবে পরিকল্পনা করে উপভোগ্য করে তুলতে পারেন।

৪. মনের কথা কারও কাছে খুলে বললেও কষ্ট, খারাপ লাগা কমতে পারে। জীবনে কোনও সমস্যা হলে, তার সমাধান জানা না থাকলে বিশ্বাসযোগ্য কারও কাছে সে কথা বলতে পারেন। পরামর্শ চাইতে পারেন।

৫. মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত থাকলে শরীরচর্চা বা খাওয়ার দিকে মন যায় না। কিন্তু মনকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে একটু জোর খাটাতেই হবে। সকালে উঠে প্রাণায়াম করলে তার ইতিবাচক প্রভাব শরীর ও মনকে শান্ত করে তুলবে। তবে এক দিনে ফল মেলে না। অন্তত মাসখানেক অভ্যাসে তা বোঝা যেতে পারে। সঙ্গে দরকার স্বাস্থ্যকর খাওয়া আর পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুম কিন্তু জাদুকাঠির মতোই।

এই কৌশলগুলিতে কাজ না হলে এই বিষয়ে মনোবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Advertisement
আরও পড়ুন